হ্যাকে মিশেল ওবামার পাসপোর্টের কপি প্রকাশ

মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা, ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আর ডেমোক্রেটিক দল থেকে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন-এর গুরুত্বপূর্ণ নথি অনলাইনে প্রকাশ করেছে হ্যাকাররা।

তাহমিন আয়শা মুর্শেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Sept 2016, 01:04 PM
Updated : 25 Sept 2016, 01:04 PM

মার্কিন বিচার বিভাগ নথিগুলোর সত্যতা যাচাই করে দেখছে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল লরেটা লিঞ্চ। তারা ধারণা করছেন, হোয়াইট হাউসে ভ্রমণে সহায়তার জন্য ভাড়া করা খণ্ডকালীন ঠিকাদারদের কারও ব্যক্তিগত জিমেইল অ্যাকাউন্ট লঙ্ঘনের মাধ্যমেই এসব তথ্য ফাঁস হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ফাঁস হওয়া নথিতে উল্লেখিত তথ্যের মধ্যে রয়েছে জুলাইতে লস অ্যাঞ্জেলেস সফরে বাইডেনের ব্যবহৃত হোটেল রুম সম্পর্কিত তথ্য। এসব নথিতে আরও আছে, ২০১৫ সালে এক সম্মেলনে অংশ নিতে যাওয়ার সময় হিলারির গাড়িবহর যাওয়ার বিস্তারিত রুটের তথ্য। শুধু তাই নয়, এতে আরও প্রকাশিত হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা’র স্ত্রী মিশেল ওবামা’র পাসপোর্টের স্ক্যান করা কপি।

প্রযুক্তিভিত্তিক সাইট সিনেট-এর তথ্যমতে, নথিগুলো ডিসিলিকস.কম (DCLeaks.com) নামের সাইটে পোস্ট করা হয়েছে। একই সাইট থেকে  আগের সপ্তাহে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়াল-কে ইমেইল পাঠানো হয়েছিল।

সর্বশেষ এই হ্যাক মার্কিন রাজনীতিবিদদের ইমেইল আর গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। জুন মাসে ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটি তাদের সাইট হ্যাক হয়েছে বলে জানায়।  হোয়াইট হাউসের কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একটি সিস্টেম এবং পেন্টাগনের একটি নেটওয়ার্কও লিক হয়েছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি জানা যায় ইয়াহু'র ৫০ কোটি ব্যবহারকারীর তথ্যফাঁসের খবর।

"হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তা আর যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মীদের প্রতি আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, তারা যাতে সরকারি সব ধরনের কাজের জন্য সরকারি 'অফিসিয়াল' ইমেইল ব্যবহার করেন", এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন হোয়াইট হাউস প্রেস সচিব জ’স আর্নেস্ট।

আর্নেস্ট আরও জানান, তারা নথি ফাঁসের এই ঘটনা খতিয়ে দেখছেন। তবে হ্যাকের ঘটনায় কারা জড়িত থাকতে পারে সেই সম্পর্কে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।