৫০ হাজার ডলার জরিমানায় 'ট্রাম্প হোটেলস'

তথ্য ফাঁসের অভিযোগে নিউ ইয়র্ক স্টেট-এর সঙ্গে মীমাংসা করতে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার পরিশোধের জন্য  রাজী হয়েছে ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেলস ম্যানেজমেন্ট এলএলসি'।

ফুয়াদ তানভীর অমিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Sept 2016, 09:34 AM
Updated : 24 Sept 2016, 09:34 AM

তথ্য ফাঁসের এই ঘটনায় ৭০ হাজার ক্রেডিট কার্ড নাম্বার এবং ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিজস্ব হোটেল চেইন। ২৩ সেপ্টেম্বর জরিমানার ঘোষণা দেন নিউ ইয়র্ক অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক শ্নাইডারম্যান, জানিয়েছে রয়টার্স।

বিশ্বজুড়ে 'ট্রাম্প হোটেল কালেকশন' নামে বেশ কয়েকটি হোটেল পরিচালনা করে আসছেনে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার তিন সন্তান।

শ্নাইডারম্যান জানান, ব্যাংকের বিশ্লেষণে দেখা গেছে ২০১৫ সালের মে-তে যে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির ঘটনাগুলো ঘটেছে , সেগুলো সর্বশেষ ট্রাম্প হোটেলস-এ ব্যবহার করা হয়েছিল। এক তদন্তে দেখা যায় নিউ ইয়র্ক এবং লাস ভেগাসে ট্রাম্প হোটেলস-এর কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার রয়েছে।

মার্চে ট্রাম্প হোটেলে আরেকটি তথ্য ফাঁসের অভিযোগ আনা হয়। নিউ ইয়র্কের 'ট্রাম্প সোহো' সহ পাঁচটি হোটেলের ৩৯টি সিস্টেমে ক্রেডিট কার্ড ম্যালওয়্যার পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

শ্নাইডারম্যান আরও জানান, তথ্য ফাঁসের পরপরই গ্রাহকদের বিষয়টি না জানিয়ে নিউ ইয়র্কের নীতি ভঙ্গ করেছে ট্রাম্প হোটেলস। ২০১৫ সালে ম্যালওয়ারের কথা জানার প্রায় চার মাস পর ওয়েবসাইটে গ্রাহকের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। ৫০ হাজার ডলার জরিমানার পাশাপাশি হোটেলের সিকিউরিটি উন্নত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

"দুঃখজনকভাবে সম্প্রতি সাইবার অপরাধীরা গ্রাহকের তথ্য পেতে প্রায় সকল প্রধান হোটেলসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের সিস্টেমকে আক্রান্ত করেছে," বলেন, ট্রাম্প হোটেলস-এর এক মুখপাত্র।

ট্রাম্প হোটেলস মামলা ছাড়াও ২০১৩ সালের ট্রাম্প ইউনিভার্সিটি-র একটি জালিয়াতি মামলা খতিয়ে দেখছেন শ্নাইডারম্যান। সম্প্রতি ট্রাম্পের দাতব্য সংস্থা নিউ ইয়র্কের অলাভজনক আইনের আওতায় পড়ে কি না সে বিষয়ে তদন্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।