যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, অ্যান্ড্রু অটো বোগস আর জাস্টিন গ্রে লিভারম্যান নামের ওই দুই অভিযুক্ত ব্যক্তি হামলার জন্য দায়ী গ্রুপ ‘ক্র্যাকস উইথ অ্যাটিচুড' এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
সিআইএ'র পরিচালক, ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স-এর প্রধানসহ অনেক কর্মকর্তার ইমেইল অ্যাকাউন্ট ওই গ্রুপের মাধ্যমে হ্যাক হয়েছে। তা ছাড়াও ওই গ্রুপ ২৯০০০ এফবিআই এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এজেন্ট আর বহু কর্মচারীর বিবরণ 'চুরি' করে তা ফাঁস করেছে।
তদন্তকাজে জড়িত এফবিআই এজেন্ট লিখিত কোর্টের নথি থেকে জানা গেছে হ্যাকাররা এসব সংবেদনশীল ইমেইল অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে প্রযুক্তিগত সহায়তাদাতা কর্মচারীদের তথ্য ফাঁসের ভয় দেখিয়েছে। এ ছাড়াও হ্যাকাররা আইএসপি এবং অন্যান্য সেবাদাতা কোম্পানি থেকে নিজেদের টেকনিশিয়ান হিসেবে জাহির করে পাসওয়ার্ড পুনঃনির্ধারনের আহবান জানায়, যাতে তারা পাসওয়ার্ড সহজেই পেতে পারে ও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করতে পারে। ২০১৬ সালের শুরু থেকেই এসব ঘটনা ঘটে আসছে বলে জানা গেছে।
বিবিসি জানিয়েছে, সংবেদনশীল বার্তা এবং ক্ষতিগ্রস্থ নথি ইমেইল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আক্রমণকারীরা অনলাইনে প্রকাশ করেছে। এসব অভিযোগ প্রমাণের পর এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয়।
আদালতের সুপারিশকৃত নথি অনুসারে জানা যায়, ওই হ্যাকারদলের সদস্যরা বিদেশ থেকে হ্যাকিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয়ও ফোনকল করেছিল।