এই সেন্টারগুলো ইংল্যান্ড-এর লন্ডন, ডারহাম এবং কার্ডিফ-এ অবস্থিত। মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি যাতে তাদের অনলাইন সেবা সরকারি খাতে দিতে সক্ষম হয় এবং গুরুত্বপূর্ণ ডেটা রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারে সেজন্য প্রতিষ্ঠানটিকে এই শহরগুলোর কর্তৃপক্ষের সহায়তা করা উচিত বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
ইতোমধ্যেই ইংল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনএইচএস ট্রাস্ট (ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস) ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইংল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রাণালয়ের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মাইক স্টোন বলেন, দুই বছর আগে তিনি মাইক্রোসফটকে এই পরিকল্পনার জন্য অনুপ্রাণিত করেছিলেন। তিনি বিবিসি-কে জানান, “আমরা (প্রতিরক্ষা মন্ত্রাণালয়) এখনও উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহার করি, এমনকি সব অ্যাপ্লিকেশন ২০০৩ অথবা তার আগের।"
“আমি বুঝতে পারি আমরা যে সেবা দিচ্ছি তা আমাদের উদ্দেশ্যের জন্য যথেষ্ট নয়। তাই পরিকল্পনাটি হচ্ছে ক্লাউডকে সম্পূর্ণ ব্যবহার করে নতুন সুযোগ নেওয়া", যোগ করেন তিনি।
মাইক্রোসফট এখন ব্যবহারকারীদের ক্লাউড কম্পিউটিং বা আজুর সার্ভিস-এর মাধ্যমে শুধু ডেটা স্টোর এবং অফলোড প্রসেসিংয়ের সেবা দিচ্ছে। এর সঙ্গে ইংল্যান্ডে ডেটা সেন্টার থাকায় তারা এখন অনলাইন অফিস ৩৬৫-এর অ্যাপ সেবা দিতে সক্ষম, যেহেতু ডেটা ইংল্যান্ড থেকে বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
মার্কিন বাজার বিশ্লেষণা প্রতিষ্ঠান সিনার্জি রিসার্চ-এর মতে এপ্রিল এবং জুন মাসে ক্লাউড কম্পিউটিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এডাব্লিউএস (অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস) ৩১ শতাংশ বাজার দখলে রাখতে পেরেছিল, সেখানে মাইক্রোফটের দখলে ছিল ১১ শতাংশ।