প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয় এ বিষয়ে সরকারের কাছ থেকে "একটি মজবুত প্রতিক্রিয়া" পাওয়া গিয়েছে। পরিকল্পনা সামনে এগোলে লন্ডন থেকে ম্যানচেস্টার পর্যন্ত রাস্তা তৈরি করা হবে। এর ফলে লন্ডন থেকে ম্যানচেস্টার-এ যাতায়াতে সময় লাগবে ১৮ মিনিট। আর যানটির গতি হবে ঘন্টায় ৭৬০ মাইল, জানিয়েছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিরর।
হাইপারলুপ ওয়ান প্রকল্পের আওতায় দেশটির উত্তরের শহর লিভারপুলকেও ম্যানচেস্টারের সঙ্গে যুক্ত করার প্রত্যাশা রয়েছে, যাতে করে শহর দুইটি 'একটি একক শহরে' পরিণত হয়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৭ সালে দ্রুতগতির এই যানের জন্য রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করা কথা রয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে এটি বার্মিংহাম পর্যন্ত পৌছাবে এবং ২০৩৩ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ নির্মাণ কাজ শেষ হবে। হাইপারলুপ প্রযুক্তি এখন পর্যন্ত প্রোটোটাইপ পর্যায়ে থাকায় এটির নির্মাণ কাজ কিছুটা ধীর গতির হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
হাইপারলুপকে "পঞ্চম পর্যায়ের যানবাহন" হিসেবে উল্লেখ করেছেন ইলন মাস্ক। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় এই প্রযুক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে পরীক্ষা চলানো হচ্ছে।
হাইপারলুপ হলো এমন একটি বাহন যেটি একটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে টানেলের ভেতর দিয়ে প্রচলিত আকাশযানের চেয়েও বেশি গতিতে চলাচল করবে। যানটির মানববাহক অংশটুকুকে ক্যাপসূল আকৃতির হিসেবে প্রথমিকভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।