ডেমোক্রেট নথি হ্যাক 'জনসেবা'

ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটি-এর ইমেইল হ্যাকিংয়ের ঘটনাকে 'জনসেবা' হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Sept 2016, 11:06 AM
Updated : 3 Sept 2016, 11:06 AM

ব্লুমবার্গ-এর প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "শুনুন, কে এই ডেটা হ্যাক করেছে তা কি আসলেই কোনো বিষয়? গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ওই কনটেন্ট জনগণের হাতে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।" তবে, ওই ইমেইল হ্যাকের ঘটনায় রাশিয়ার সম্পৃক্ততা রয়েছে- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি, জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি। 

"কে এটি করেছে তা অনুসন্ধানের মতো ছোট বিষয় তুলে এনে এই সমস্যার মূল অংশ থেকে জনগণের নজর সরানোর চেষ্টার কোনো দরকার নেই। কিন্তু আমি আবারও বলতে চাই, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না, আর রাষ্ট্রীয় অবস্থা থেকে রাশিয়া কখনও এটি করেনি", যোগ করেন পুতিন। 

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় শীর্ষে থাকা দুই প্রার্থী তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় 'শক ট্যাকটিক্স' ব্যবহার করছেন বলেও মন্তব্য করেন পুতিন। 'শক ট্যাকটিক' বলতে কাউকে আঘাত দিতে আক্রমণাত্মকভাবে কোনো কৌশল ব্যবহারকে বোঝানো হয়েছে।

পুতিন বলেন, "আমি মনে করি তারা সর্বোৎকৃষ্ট নজির স্থাপন করছে।" হয়তো হিলারি বা ট্রাম্প, কোনো একজনের প্রশাসনের সঙ্গে তিনি কাজ করবেন, কিন্তু কাউকেই তিনি সমর্থন করবেন না বলেও জানান।

সিরিয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে রাশিয়া আর যুক্তরাষ্ট্র একটি চুক্তির কাছাকাছি পর্যায়ে বলেও জানান রুশ প্রেসিডেন্ট।

চলতি বছর একাধিকবার হ্যাকের শিকার হয় হিলারি ক্লিনটন-এর দল ডেমোক্রেট পার্টি। হিলারি ক্লিনটনের প্রচারণায় ব্যবহৃত কম্পিউটার হ্যাক হওয়ার ঘটনা ডেমোক্রেটিক দলের রাজনৈতিক সংস্থাগুলোর উপর বড় পরিসরে সাইবার হামলা হানার একটি অংশ ছিল— এই বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বরাতে সে সময় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। কারা এই হ্যাক চালায়? প্রশ্নের জবাবে কোনো সুসপষ্ট প্রমাণ এখনও পাওয়া না গেলেও, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা দাবি করেছেন ‘হ্যাকাররা রাশিয়ান’।

এই সাইবার আক্রমণের দায় স্বীকার করে নিয়েছে 'গুসিফার ২.০' ছদ্মনামের এক হ্যাকার। তিনি রাশিয়ান গুপ্তচর সংস্থার হ্যাকারদের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলেই বিশ্বাস মার্কিন গুপ্তচর কর্মকর্তাদের।

এই হ্যাকের মাধ্যমে ফাঁস হওয়া তথ্যের মধ্যে প্রায় দুইশ' আইনপ্রণেতার ব্যক্তিগত ফোন নাম্বার আর ইমেইল অ্যাড্রেস রয়েছে।