এই প্রকল্পের আওতায় এমন একটি মডিউলার স্মার্টফোন তৈরির কথা ছিল, যেটি গ্রাহক তার ইচ্ছামত এর ক্যামেরা, কিবোর্ড, স্ক্রিন, প্রসেসর, স্পিকার এবং অন্যান্য সেন্সর পরিবর্তন করতে পারবেন। এ বছরের মে-তে অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটির আইও ডেভেলপারস কনফারেন্সে গুগল ঘোষণা দেয় এই শরতে ফোনটির ডেভেলপার সংস্করণ বাজারে আনা হবে, জানিয়েছে বিবিসি।
গুগলের এই মডিউলার ফোনটি নিয়ে ইতোমধ্যেই নানা আলোচনা সমালোচনা শোনা গেছে। মোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মোটোরলাকে কেনার পর নানাদিক থেকে পিছিয়ে গিয়েছে ‘প্রজেক্ট আরা’। ২০১৪ সালে পুয়ের্তো রিকো-তে একটি পাইলট প্রোগ্রাম চালু করে প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রোগ্রামের আওতায় একটি স্মার্টফোন ফ্রেম এবং ২০ থেকে ৩০টি সংযুক্ত করা যায় এমন মডিউল বিক্রি করা হয়। পাইলট প্রোগ্রামটি বিলম্বিত হয় এবং গত বছর “ডিজাইনে অনেক পুনরাবৃত্তি” এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
চলতি বছরের মে মাসে গুগলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নতুন সংস্করণে আসলে যেভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল তার চেয়ে কম পরিবর্তন করার সুযোগ থাকবে। মূল স্ক্রিন এবং প্রসেসর পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ থাকবেনা বলেও জানানো হয়।
এ বছরের শুরুতেই একটি মডিউলার ফোন উন্মোচন করেছে এলজি। যদিও এখানে পরিবর্তন করার সুযোগ খুবই অল্প। ফোনটিতে শুধু উচ্চমানের অডিও এবং ক্যামেরা গ্রিপ পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও ব্যাটারি পরিবর্তনের সুযোগ থাকলেও সেক্ষেত্রে ফোনটি পুনরায় চালু করতে হয়।
এইএইচএস-এর মোবাইল এবং টেলিকমের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ইয়ান ফগ বলেন, “স্মার্টফোন বাজার থেকে গত বছরগুলো থেকে যা কিছু শেখা হয়েছে ‘প্রোজেক্ট আরা’ তার সবকিছুর বিরুদ্ধে গেছে। মূল ধারণার মতো গ্রাহকের ইচ্ছা অনুযায়ী সকল মডিউল পরিবর্তনশীল ফোন তৈরি করা অবিশ্বাস্য রকমের কঠিন।”
‘প্রজেক্ট আরা’ স্থগিত করায় এখন অন্যান্য স্মার্টফোন তৈরিতে মনযোগ দিতে পারবে গুগল, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।