আয়ারল্যান্ড-কে বিশেষ রুট হিসেবে ব্যবহার করে করের পরিমাণ কমানোর অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় কর হিসেবে এই অর্থ পরিশোধের আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কয়েক বছর ধরেই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর একচেটিয়া ব্যবসা ও কর বিষয়ে তীক্ষ্ণ নজরদারী চালাচ্ছে। তবে এত বড় অংকের জরিমানা এটাই প্রথম।
রায়ে বলা হয়েছে, অ্যাপল দ্বীপরাষ্ট্রটিকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করেছে। এই ব্যবহারকে ‘স্টেট এইড’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, যার মানে হচ্ছে বিশেষ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে কোনো রাষ্ট্রীয় সুবিধা উন্মুক্ত করে দেওয়া। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কম্পিটিশন কমিশন মারগ্রেথ ভেস্টেগার এ সম্পর্কে বলেন- “আয়ারল্যান্ড অ্যাপলকে অন্যায় সুবিধা দিয়েছে যার ফলে প্রতিষ্ঠানটি অন্যদের তুলনায় আশ্চর্যজনক কম কর দিয়ে পার পেয়েছে।”
প্রযুক্তি জায়ন্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ‘ভেস্টেগার ভীতি’ গত এক দশক ধরেই জারি রয়েছে। তার নেতৃত্বে সার্চ জায়ান্ট গুগলের বিরুদ্ধে অন্তত দুটি তদন্ত চলছে, যার একটি সার্চ ফলাফলে নিরপেক্ষতা বিষয়ক ও অপরটি গুগলের অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মকে একচেটিয়া ব্যবসার স্বার্থে ব্যবহার বিষয়ক।
আগের এমন অন্য কোনো মামলায় ইউরোপিয়ান কমিশনের ধার্য করা সর্বোচ্চ অংকের চেয়েও এই অংক ৪০ গুণ বড়, তবে অ্যাপল যদি অন্য দেশগুলোয় আরো কর দেয় তাহলে এই অংক কমিয়ে আনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন-এর এক কর্মকর্তা।
অ্যাপল ইতোমধ্যে এই সিদ্ধান্তের বিপরীতে আপিল করার কথা জানিয়েছে।
আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক কর বিধি এড়িয়ে ২০১৪ সালে অ্যাপলের প্রায় এক হাজার কোটি ডলারের কর ফাঁকির সুবিধা করে দেওয়ায় অভিযোগ আনে ইউরোপিয়ান কমিশন। কর ফাঁকির বিনিময়ে অ্যাপলের পক্ষ থেকে চাকুরীর 'নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়'। তবে আয়ারল্যান্ড এবং অ্যাপল উভয়েই এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।