দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা শিনহুয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই লাইনের কার্যক্রম সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় হবে। ট্রেন ছেড়ে যাওয়া, দরজা খোলা-বন্ধ করা, এমনকি পরিষ্কার করা সবই স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হবে। তবে, এক্ষেত্রে শুধুই দেশটির অভ্যন্তরীণ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
২০১০ সালে চীন নিজস্ব সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় সাবওয়ে ব্যবস্থা বানানোর কাজ শুরু করে। আর ইতোমধ্যে এর মূল প্রযুক্তি নিয়ে কাজ এগিয়ে গিয়েছে।
সেই সঙ্গে বেইজিংয়ের ৩,১২,১৯ আর ১৯ নাম্বার লাইন ও এয়ারপোর্ট লাইনও এই পরিকল্পনার আওতায় রয়েছে। এগুলোতেও সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় চালকবিহীন ট্রেন চালানো হবে।
২০২০ সালের মধ্যে বেইজিংয়ের পুরো স্বয়ংক্রিয় সাবওয়ে লাইনের দৈর্ঘ্য তিনশ' কিলোমিটার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই উন্নয়ন আর অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম দেশটির 'মেড ইন চায়না ২০২৫' উদ্যোগের একটি অংশ।
চলতি মাসেই পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয় দেশটির বহুল প্রতিক্ষীত ‘স্ট্র্যাডলিং বাস’। দেশটির হেবেই প্রদেশে চালু করে এই বাস ‘ট্রানজিট এলিভেটেড বাস’ বা ‘ট্রানজিট এক্সপ্লোর বাস (টিইবি)’ নামেও পরিচিত।
নতুন এই বাসের ধারণা এসেছে দেশটির শেনজেন হাশি ফিউচার ইকুইপমেন্ট কোম্পানি'র হাত ধরে। ২০১০ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত প্রযুক্তি প্রদর্শনী অনুষ্ঠান বেইজিং ইন্টারন্যাশনাল হাই-টেক এক্সপো-তে এই বাসের ধারণা উন্মোচন করা হয়। একই প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের ২০১৬ সালের আসরে এর একটি ‘কার্যকরী’ মডেল উপস্থাপন করা হয়।
ওই মিনি মডেলের একটি ভিডিও ছাড়া হলে তা ব্যাপক উন্মাদনার জন্ম দেয়। এই বিশেষ বাসের দুই পাশের মাঝখানে দিয়ে গাড়ি চলাচলের সুযোগ রাখা হয়েছে। ২ মিটার উচ্চতার এই বাস বিদ্যুতচালিত। ৭২ ফুট লম্বা আর ২৫ ফুট প্রস্থের এই বাসের যাত্রীধারণ ক্ষমতা প্রচলিত বাসগুলোর চেয়ে ঢের বেশি। তিনশ'জন পর্যন্ত যাত্রী বহন করতে পারবে বাসটি।
দেশটির কিনহাউংডাও শহরে তিনশ' মিটার নিয়ন্ত্রিত পথে এই পরীক্ষা চালানো হয়। প্রচলিত রাস্তার উপর রেল লাইনের মতো লাইন বসিয়ে এর পথ তৈরি করা হয়। একসঙ্গে চারটি এমন বাস সংযুক্ত করার সুযোগ রয়েছে। ঘণ্টায় এটি সর্বোচ্চ ৬০ কিমি গতিতে চলতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের সূত্রমতে, একটি টিইবি ৪০টি প্রচলিত বাসের কাজ করতে পারবে। তবে, ঠিক কবে নাগাদ এই যান চীনে বিস্তৃত পরিসরে চালু করা হবে তা এখনও স্পষ্ট করেনি প্রতিষ্ঠানটি।