দেশটির সাউথ গ্লস্টারশায়ার-এর টাইনিংস প্রাইমারি স্কুল-এর ৪৫ বছর বয়সী ওই প্রধান শিক্ষকের নাম অ্যাশলে ইয়েটস। তিনি আদালতে ছয়টি ‘ভয়েরিজম’ আর শিশুদের অশালীন ছবি বানানোর তিনটি অভিযোগ স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বিনা অনুমতিতে বা গোপনে কারও আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে নগ্ন দেহ বা ঘনিষ্ট ছবি দেখে যৌন তৃপ্তি ভোগ করাকে ভয়েরিজম বলা হয়।
স্কুলের পরিত্যক্ত একটি শৌচাগারে এক শিশু ওই কলম খুঁজে পেয়ে তা স্কুলের কেয়ারটেকার-এর হাতে তুলে দেওয়ার পর এই ঘটনা প্রকাশ পায়।
নিজে বিবাহিত এবং একজন বাবা হয়েও অ্যাশলে ২২ জন পূর্ণবয়স্ক, নয়জন শিশুর ছবি ধারণ করেছেন বলে জানিয়েছে আদালত। নিজ স্ত্রীর কাছে নিজেকে একজন 'যৌন দৈত্য' হিসেবে তুলে ধরে দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
এ নিয়ে করা তদন্তে শিশুরা ছাড়াও এই হয়রানির শিকার হওয়া অন্যান্য প্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করেছে পুলিশ। শিশু আর প্রাপ্তবয়স্ক উভয়েই ওই শৌচাগার ব্যবহার করে, এটি জেনেই অ্যাশলে রেকর্ডিং ডিভাইস স্থাপন করেন বলে পুলিশের যুক্তি।
শিক্ষার্থী মা-বাবার উদ্দেশ্যে স্কুলের ওয়েবসাইট-এ বলা হয়েছে, "তদন্তের সময় পুলিশ প্রমাণাদি জব্দ করার পরই ক্ষতিগ্রস্থরা নজরে আসে। তদন্তে যদি আর কোনো ক্ষতিগ্রস্থ শনাক্ত হয়, তাদেরকেও তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হবে।"