‘সন্ত্রাস ঠেকাতে ব্যর্থ’ সামাজিক মাধ্যমগুলো

সন্ত্রাসবাদ প্রচারণায় নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে এমন লোকদের ঠেকাতে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না সামাজিক মাধ্যমগুলো, বরং তারা অন্যের ঘাড়ে দায় ঠেলে দিচ্ছে- এমন অভিযোগ তুলেছেন যুক্তরাজ্যের আইন প্রণেতারা।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 August 2016, 02:47 PM
Updated : 26 August 2016, 02:47 PM

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেইসবুক, টুইটার, আর গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এই সমস্যা মোকাবেলায় "সজ্ঞানে ব্যর্থ" হচ্ছে। জনপ্রিয় সাইটগুলো 'প্রজ্ঞাপন প্রচারে পছন্দের বাহন' আর 'সন্ত্রাসবাদের জন্য নিয়োগের প্লাটফর্ম' হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাজ্য পার্লামেন্ট-এর হোম অ্যাফেয়ার্স সিলেক্ট কমিটি, জানিয়েছে স্কাই নিউজ।

ফোরাম, মেসেজ মোর্ড আর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো আইএস নামে পরিচিত উগ্রপন্থী সন্ত্রাসী সংগঠন দায়েশ-এর 'প্রাণশক্তি' হিসেবে উল্লেখ করেছেন কমিটির চেয়ারম্যান কেইথ ভাজ। তিনি বলেন, "নিজদের সাইটগুলো সন্ত্রাসের উষ্কানিদাতারা ব্যবহার করছে জেনেও নিজদেরে 'সুপ্রান্যাশনাল লিগ্যাল স্ট্যাটাস'-এর পিছনে লুকিয়ে দায় অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে, এই হুমকি মোকাবেলায় গুগল, ফেইসবুক আর টুইটারের মতো বড় প্রতিষ্ঠানগুলো শতকোটি ডলার আয় নিয়েও সজ্ঞানে ব্যর্থ হচ্ছে।”

“এই হুমকি মোকাবেলায় প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যর্থতা ইন্টারনেট-এর কিছু অংশ অশাসিত, অনিয়ন্ত্রিত এবং আইনবিহীন করে দিচ্ছে।”

এ সব প্রতিষ্ঠানগুলোর মাত্র কয়েকশ’ লোকের দল কয়েকশ’ কোটি অ্যাকাউন্ট পর্যবেক্ষণে নিয়োজিত, এটি ‘আশঙ্কাপূর্ণ’ বলে মত দিয়েছেন তিনি।

মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার উগ্রপন্থী কনটেন্টগুলো সম্পর্কে আগেভাগে আইনশৃংখলা প্রণয়নকারী সংস্থা'র কাছে জানায় না বলেও ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সেখানে দেখানো সূত্রমতে, ব্রিটিশ পুলিশের একটি দল প্রতিদিন প্রায় তিনশ'টি করে উগ্রপন্থী কনটেন্ট সরাচ্ছে।

এ খবর প্রকাশের আগের সপ্তাহে, আইএস-এর পক্ষে সমর্থন চাওয়ার পর আটক হওয়া আঞ্জেম চৌধুরী'র অনলাইন পোস্টগুলো সরিয়ে নিতে কর্তৃপক্ষ-কে বেগ পেতে হয় বলেও জানা যায়।    

টুইটার, ফেইসবুক আর গুগল নিজেরা নিজেদের দায়িত্ব ঠিকভাবেই পালন করে বলে কমিটির কাছে দাবি করেছে, বলা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

এর আগে চলতি বছর ১৮ অগাস্ট দেওয়া এক ব্লগপোস্টে ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রচারণা বা হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ৩৬০০০০ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানায় টুইটার। ওই ব্লগ পোস্টে প্রতিষ্ঠানটি বলে, “আমাদের কাজ এখনও শেষ হয়নি। টুইটারে এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনাসহ অর্থপূর্ণ ফলাফল আনতে আমরা আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।”