নতুন কিছু তথ্য ফাঁস করেছেন স্নোডেন, এসব তথ্যে ওই টুলগুলো এনএসএ-এরই বলে প্রমাণ দেওয়া হয়েছে।
হ্যাকিং টুলগুলোর ম্যানুয়ালে একটি ট্র্যাকিং স্ট্রিং পাওয়া যায়- ace02468bdf13579। এই একই কোড 'সেকেন্ড ডেইট' নামের আরেকটি সফটওয়্যারে পাওয়া যায়, যা সম্প্রতি হ্যাক হওয়া হ্যাকিং টুলগুলোর একটি অংশ, জানিয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক মার্কিন সাইট বিজনেস ইনসাইডার।
এ ছাড়া বানানা গ্লি, জেট প্লো আর জেস্টি লিক ছদ্মনামের কিছু নথি পাওয়া যায়। এই সবগুলো নামই ২০১৩ সালের প্র প্রকাশিত এনএসএ টুল-এর ৫০ পৃষ্ঠার একটি অত্যন্ত গোপন ক্যাটালগে নথিভূক্ত ছিল।
সাবেক একজন এনএসএ গবেষক ও বিজ্ঞানী ডেইভ আইটেল বলেন, "ফাঁস হওয়ার ক্ষেত্রে একটি মজার বিষয় হচ্ছে, এগুলো অনেক পেশাদার আর তারা নিজেরাই নিজেদের পরিষ্কার করে।" এর মানে হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো রাষ্ট্রের অধীনে কাজ করা কোনো হ্যাকার এমন টুল বানাবে, যা তাদের ট্র্যাক করা সব তথ্য লুকিয়ে প্রয়োজনীয় সব পাওয়ার পর নিজেরাই বন্ধ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনএসএ-এর এলিট হ্যাকার ইউনিট-এ কাজ করা এক সূত্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, "এগুলো এমন কিছু টুল যা সরকারগুলোর কাছে আসলেই এক্সকুসিভ।"
এখন পর্যন্ত বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজী হয়নি এনএসএ।
সম্প্রতি চুরি করা নজরদারির টুল নিলামে বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছে শ্যাডো ব্রোকার্স নামের একদল হ্যাকার। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ)-এর সঙ্গে জড়িত একটি সাইবার গ্রুপ এই টুলগুলো ব্যবহার করেছিল বলে জানিয়েছে হ্যাকার দলটি।
এই নিলামে ক্রেতাদের আকর্ষণ বাড়াতে, তারা কিছু নমুনা প্রোগ্রাম বের করেছে। তাদের দাবি এগুলো দিয়ে সিসকো, জুনিপার নেটওয়ার্ক আর ফোর্টিনেট -এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো 'জনপ্রিয়' ফায়ারওয়াল সফটওয়্যার ভাঙা সম্ভব।
নিজেদের টাম্বলার ব্লগে শ্যাডো ব্রোকারস নিলামে তোলা উপাদান ইকুয়েশন গ্রুপ নামের হ্যাকার দলের বানানো 'সাইবার অস্ত্র' হিসেবে উল্লেখ করেছে। ইকুয়েশন গ্রুপ সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একটি দল, এটি এনএসএ-এর একটি শাখা বলে বিশ্বাস শ্যাডো ব্রোকারস-এর।