চীনে সাধারণত বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিযোগিতায় টিকতে ধুঁকতে হয় বলে মত মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’র। আলিবাবা'র ক্লাউড ব্যবসায় বিভাগ আলিবাবা ক্লাউড বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে চীনে আলিবাবা কাঠামো ব্যবহার করে তাদের সফটওয়্যার পণ্য আনতে সুযোগ করে দেবে।
এসএপি আর ডাইমলারসহ গাড়ি নির্মাতা জার্মান প্রতিষ্ঠানগুলোর জোটের মালিনাকধীন ম্যাপিং সেবা ব্যবসায় হেয়ারসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, জাপান আর থাইল্যান্ড-এর ১১টি প্রতিষ্ঠান আলিবাবার সঙ্গে এই অংশীদারিত্বে যাচ্ছে।
আলিবাবা ক্লাউড গ্লোবাল-এর মহাব্যবস্থাপক সিচেং ইউ বলেন, "চীনে ব্যবসায় করা সহজ নয়। প্রথমত, আপনার আলিবাবা ক্লাউড-এর মতো কারও অবকাঠামোগত সহায়তা প্রয়োজন হবে, যেখানে আমদের সর্বোত্তম ডেটা সেন্টার আর নেটওয়ার্ক রয়েছে। দ্বিতীয়ত, আপনাকে স্থানীয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করতে হবে, কারণ চীন অন্যান্য দেশের মতো নয়, এখানে ক্লাউড অপারেটরদের ডেটা নীতিমালা নিয়ে নির্দিষ্ট লাইসেন্স দরকার হয়। এই জায়গায় আমরা তাদের সহায়তা করতে পারি। আমরা তাদের স্থানীয় নীতিমালার সঙ্গে সমন্বয় করতে সহায়তা করব।"
আলিবারা সঙ্গে জোট বাঁধা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব সফটওয়্যার রয়েছে, যা ক্লাউড ব্যবহার করে চলে। কিন্তু সেগুলোকে চীনে নিয়ে আসা কষ্টসাধ্য হতে পারে। এ কারণে ওই সফটওয়্যারগুলো আলিবাবা'র ক্লাউড ব্যবহার করতে পারে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে আলিবাবা'র নিজেদের ব্যবসায়ে কোনো হুমকি আসবে না বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, "আমরা ক্লাউড স্পেসে সব বাইরের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে একটি উন্মুক্ত মনোভাব বজায় রাখি। আমরা শুধু চাই, আলিবাবা ক্লাউড একটি ওয়ান-স্টোপ শপিং প্লেইস হবে যেখানে গ্রাহকদের জন্য সবচেয়ে বেশি বিস্তৃত অপশন পাবেন।"
আলিবাবা ক্লাউডের ২৩ লাখেরও বেশি গ্রাহক রয়েছে, যাদের মধ্যে পাঁচ লাখ গ্রাহক অর্থ পরিশোধ করেন।