রয়টার্স জানিয়েছে, রিজার্ভ সিস্টেমের জন্য এয়ারলাইনগুলো যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছে সেগুলো ১৯৬০ সালের প্রযুক্তি। এয়ারলাইন্সগুলো ফ্লাইটের সেবা বাড়ানোর জন্য স্বয়ংক্রিয় চেকইন সিস্টেম, লাগেজ ট্র্যাকিং এবং মোবাইল অ্যাপের প্রযুক্তি উন্নত করলেও রিজার্ভ সিস্টেম উন্নত করতে কোনো বিনিয়োগই করেনি।
বড় এয়ারলাইন প্রতিষ্ঠানগুলো টিপিএফ নামের একটি বিশেষ আইবিএম অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে থাকে। বড় অংকের লেনদেন দ্রুত করার জন্য এই সিস্টেমটি তৈরি করা হয়। আর এটি ডিজাইন করা হয় ১৯৬০ সালে, যেটি এখনও পর্যন্ত আইবিএম আপডেট করে আসছে। আর সর্বশেষ প্রতিষ্ঠানটি এই অপারেটিং সিস্টেমে বড় ধরনের আপডেট করেছে প্রায় এক যুগ আগে।
ডেল্টার আগে এ বছরের জুলাইতে গোলযোগের কারণে সাইথওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের ২০০০ ফ্লাইট বাতিল হয়। এ ছাড়াও গত বছরের গ্রীষ্মে ইউনাইটেড কন্টিনেন্টালে দু'টি বড় ধরণের বিভ্রাট দেখা যায়।
এ ব্যাপারে আইবিএম এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট টম রোসামালিয়া বলেন, "সাম্প্রতিক সময়ের এসব বিভ্রাটের জন্য কোথাও টিপিএফ সিস্টেমের ত্রুটির কথা উল্লেখ করা হয়নি এবং এটি সবচেয়ে আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য কম্পিউটার সিস্টেম।"
ফ্লাইট বিপর্যয় নিয়ে ডেল্টার মুখপাত্র কেট মডোলো বলেন, সোমবারের ছোট বিভ্রাট এয়ারলাইন্স টেকনোলজি সেন্টারে "বড় বিপর্যয়ের" জন্ম দিয়েছে।
টিপিএফ সিস্টেম নিয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়ে ডেল্টাসহ মূল এয়ারলাইন্সগুলোকে চিঠি দিয়েছে রয়টার্স।
জবাবে, ডেল্টা টিপিএফ সিস্টেমের উপর নির্ভরশীল কিনা সেটি জানায়নি মডোলো। তবে, তিনি বলেন, "আমরা আইটি প্রোগ্রামে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করি সেটি কোনো ব্যাপার নয়।"
ইউএস এবং কানাডিয়ান এয়ারলাইনগুলো এ বছরই তাদের আয়ের ৩ শতাংশ আইটি খাতে বিনিয়োগ করবে বলেও জানানো হয়। তবে আইটি খাতে এই বিনিয়োগ যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞেরা।
বিপর্যয় কাটিয়ে ২০১৮ সালের মধ্যে ডেল্টার লাভের সীমারেখা ১৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৯ শতাংশে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। গত প্রতিষ্ঠানটির লাভের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ থেকে ১৬ শতাংশ।