অ্যালফাবেট যখন প্রতিষ্ঠানের কাঠামোগত পরিবর্তনের দিকে যাচ্ছে, ঠিক তখনই প্রধান ব্যবসায় গুগল সার্চ ইঞ্জিনের বাইরে রয়েছে এমন বিভাগগুলো থেকে চাকরী ছেড়ে দেওয়া তালিকায় শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে মারিস তৃতীয়।
পরিচয় না দেওয়া বিভিন্ন সূত্রের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি জানিয়েছে, মারিসের জায়গায় আনা হতে পারে ওই ভেনচারের ম্যানেজিং পার্টনার ড্যাভিড ক্রেইন-কে। তিনি গুগলের কর্পোরেট যোগাযোগ ব্যবস্থাপকদের মধ্যে একদম পুরানো একজন।
এই বিষয়ে মারিসের মন্তব্য জানতে চাওয়া হলেও, এ খবর প্রকাশের আগ পর্যন্ত তিনি কোনো সাড়া দেননি। আর গুগল ভেনচার্স-এর একজন প্রতিনিধি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
২০০৯ সালে গুগলের ভেনচার ক্যাপিটার বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন মারিস। এর আগে তিনি একজন ওয়েব উদ্যোক্তা ছিলেন। খুব জলদি সিলিকন ভ্যালি-তে শক্ত অবস্থান নিয়ে নেয় প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৩ সালে গুগল, 'গুগল ক্যাপিটাল' নামে আরেকটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান চালু করে। পরবর্তীতে এই প্রতিষ্ঠানটি মারিস আর তার গুগল ভেনচার্স-এর সঙ্গে কিছুটা প্রতিদ্বন্দীতায় জড়িয়ে পড়ে। সেইসঙ্গে যোগ হয় গুগলের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত, প্রতিষ্ঠানটি একদম নিজে থেকেই বিনিয়োগ শুরু করে। আর যা হওয়ার তাই, এ ক্ষেত্রেও প্রতিদ্বন্দ্বীতার মুখে পড়তে হয় মারিসের প্রতিষ্ঠান-কে।
চলতি বছর জুনের পর থেকে এই পর্যন্ত শীর্ষস্থানীয় যেসব কর্মকর্তাকে হারিয়েছে অ্যালফাবেট, তাদের মধ্যে বাকি দুজন হলেন- নেস্ট প্রধান টনি ফেডেল আর স্বচালিত গাড়ি প্রকল্পের সাবেক পরিচালক ও সিটিও ক্রিস আর্মসন।