ইমোজিপিডিয়া ওয়েবসাইট জানায়, আইওএস ছাড়া অন্যান্য প্লাটফর্মে পাঠানো মেসেজে এই ইমোজিটিকে এখনও আগ্নেয়াস্ত্র হিসেবেই দেখা যেতে পারে।
ইমোজিপিডিয়া-এর সম্পাদক জেরেমি বার্গ বিবিসিকে বলেন, "ইমোজিগুলো এমনিতেই ভিন্ন ভিন্ন প্লাটফর্মে ভিন্ন দেখায়। আর এটা অবশ্যই বিভ্রান্তিজনক। তবে, আগ্নেয়াস্ত্র আর খেলনার তুলনা করা হলে তা সম্পূর্ণ ভিন্ন মাত্রার সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।"
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক বিভিন্ন গুলিবর্ষণের ঘটনার প্রেক্ষিতে অ্যাপলের এ পদক্ষেপ প্রসঙ্গে বার্গ প্রতিষ্ঠানটিকে আগ্নেয়াস্ত্র ইমোজিটি নতুনভাবে ডিজাইন করার পরিবর্তে কিবোর্ড থেকেই উঠিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, "ব্যবহারকারীদের ব্যবহৃত ইমোজি সেটগুলোর মধ্যে অ্যাপলেরটিই সবচেয়ে বিশিষ্ট। আমার মনে হয় কিছুটা সতর্কতা বজায় রাখা এর দায়িত্ব।" তিনি জানান, এ বিষয়ে তিনি অ্যাপলকে মেইল করলেও তখন পর্যন্ত কোনো জবাব পাননি।
বিবিসি জানায়, অ্যাপলের এ পদক্ষেপ প্রসঙ্গে ইন্টারনেট জুড়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠলেও কেউ কেউ একে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের পক্ষে অবস্থান হিসেবে দেখছেন। ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান পত্রিকার কলামিস্ট জিন হানাহ এডেলস্টেইন বলেন, "এটি আমেরিকানদের নিরাপদ রাখার লড়াইয়ে চাতুর্যপূর্ণ ও ছোট একটি অংশ, যাতে আমরা বর্তমানে হেরে যাচ্ছি।"
অন্যদিকে, এ সপ্তাহে নিজেদের টয় রে গান ইমোজিটিকে আরও বাস্তব দেখতে এমন হ্যান্ডগান ইমোজিতে রূপ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে অন্য টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট। এক ব্লগ পোস্টে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ইমোজিগুলো যাতে "আরও ব্যক্তিগত, আরও অভিব্যক্তিসম্পন্ন" হয়ে ওঠে সে উদ্দেশ্যেই এ পরিবর্তন। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট এনগ্যাজেট-কে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, "এর আগের ডিজাইনটি ইন্ডাস্ট্রি ডিজাইন বা ইমোজি সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের প্রত্যাশা পূরণ করেনি।"
অ্যাপল ও মাইক্রোসফট উভয় প্রতিষ্ঠানই ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম-এর সঙ্গে কাজ করছে বলে জানিয়েছে। চলতি বছর জুনে উভয় প্রতিষ্ঠানের অনুরোধেই ইউনিকোড নতুন ইমোজি সেট থেকে রাইফেল ইমোজি সরিয়ে নেয় বলে জানায় বাজফিড।