একদিনে দুই ট্যাবলেট খেলেই নাটকীয়ভাবে কমে যাবে অ্যাজমা আক্রমণের প্রবলতা, এমনই এই ট্যাবলেট বানিয়েছেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা।
Published : 06 Aug 2016, 06:52 PM
এই রোগের জন্য প্রায় ২০ বছরের মধ্যে এই প্রথম কোনো নতুন ট্যাবলেট এল, যা 'পুরো খেলা বদলে দিতে পারে', আর অ্যাজমা চিকিৎসায় নিয়ে আসতে পারে বিপ্লব, নতুন এই ওষুধ নিয়ে করা এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিরর-এর ভাষ্য এমনটাই।
এই ওষুধ ব্যবহারকারীদের শ্বাসকষ্টের প্রবলতা তিন মাসের মধ্যে পাঁচ গুণ কমে যায়। ব্রিটিশদের মধ্যে ৫৪ লাখ মানুষ শ্বাসকষ্টে ভুগেন, যাদের মধ্যে ১১ লাখই শিশু।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ লেইস্টার-এ অধ্যাপক ক্রিস ব্রাইটলিং জানান, "এটি একটি নতুন ওষুধ যা ভবিষ্যতে শ্বাসকষ্টের চিকিৎসায় খেলা পরিবর্তনকারী হয়ে উঠতে পারে।"
ফেভিপিপর্যান্ট নামের এই ট্যাবলেট কমমাত্রার শ্বাসকষ্টের লোকদের চেয়ে বরং অধিকমাত্রার শ্বাসকষ্টে ভুগছেন এমন লোকদের উদ্দেশ্য করে বানানো হয়েছে। আর বর্তমানে এর কার্যকারিতা নিয়ে আরও পরীক্ষা চালানো হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের অ্যাজমা গবেষণা সংস্থা অ্যাজমা ইউকে-এর ভাষ্যমতে, প্রতিদিন শ্বাসকষ্টে তিনজন মানুষ মারা যান। আর গবেষণায় দেখা যায়, অ্যাজমার কারণে মারা যাওয়া মানুষদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ লোকের ক্ষেত্রেই তা প্রতিরোধযোগ্য।
অধ্যাপক ব্রাইটলিং ৬১ জন রোগী নেন। তাদের একটি দলকে ১২ সপ্তাহ ধরে ২২৫ মিলিগ্রাম একটি ট্যাবলেট দিনে দুইবেলা করে খাওয়ানো হয়। আরেক দলকে 'প্লেইসবো' দেওয়া হয়। প্লেইসবো নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নয় বরং তা রোগীদের মানসিক স্বস্তির জন্য দেওয়া হয়।
অ্যাজমার ফলে শরীরে শ্বেত কণিকার সংখ্যা বেড়ে যায়। সাধারণত যেখানে শরীরে শতকরা এক ভাগ শ্বেত কণিকা থাকে, অ্যাজমার ক্ষেত্রে তা পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ পর্যন্ত হয়ে যায়।
মাঝারি থেকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাজমা আছে এমন রোগীদের ওষুধ নেওয়ার পর ১২ সপ্তাহে শ্বেত কণিকা ৫.৪ শতাংশ থেকে ১.১ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
লেইস্টার-এর গ্লেনফিল্ড হসপিটাল-এ এই গবেষণার নেতৃত্ব দেন অধ্যাপক ব্রাইটলিং। তিনি বলেন, "অধিকাংশ চিকিৎসা হয়ত এই রোগের কিছু বৈশিষ্ট্য উন্নত করে, কিন্তু ফেভিপিপর্যান্ট পরীক্ষার সবগুলো ধরনে দেখা গিয়েছিল।"