এই অভ্যুত্থানের চেষ্টা চালানোর আগে বাইলক নামের ওই মেসেজিং অ্যাপটি ভিন্নমতালম্বী গুলেন আন্দোলনের কর্মীরা পরিত্যক্ত করে দেয়। কিন্তু এর মধ্যেই ৪০ হাজার চোরাগোপ্তা কর্মীর পরিচয় শনাক্ত করতে পেরেছে দেশটির সরকার, এদের মধ্যে ছয়শ' জন পদমর্যাদাসম্পন্ন সামরিক সদস্য, জানিয়েছে বিবিসি।
ফেতুল্লাহ গুলেন তুরস্কের সাবেক ইমাম এবং রাজনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। তিনিই গুলেন আন্দোলনের স্রষ্টা। গুলেন-এর যোগসাজশেই এই ব্যর্থ অভ্যুত্থান ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তায়িপ এরদোয়ান-এর। তবে, এ অভিযোগ অস্বীকার করে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছেন গুলেন।
বাইলক অ্যাপটি দেখে তা 'আনাড়ি' ডেভেলাপারদের বানানো, রয়টার্সকে এমনটাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ওই তুর্কি কর্মকর্তা বলেন, "বাইলক ডেটা তাদের নেটওয়ার্ক ম্যাপ করার বিষয়টি আমাদের জন্য সম্ভব করেছে- অন্তত এর একটি বড় অংশের জন্য হলেও। আমি যা বলতে পারি তা হচ্ছে এই অভ্যুত্থান চেষ্টার সঙ্গে জড়িত থাকা বিশাল সংখ্যক লোককে বাইলক দিয়ে শনাক্ত করা গেছে।"
এই অ্যাপের ডেভেলাপাররা বানিয়েছেন, এমন দাবি করা বানানো একটি ব্লগে জানানো হয়েছে, ২০১৪ সালের নভেম্বরের মধ্যে অ্যাপটি প্রায় ১০ লাখ ব্যবহারকারীকে টেনে নেয়। তবে, মার্কিন-ইসরায়েলি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সেন্টিনেলওয়ান জানিয়েছে, এটি আর বিস্তৃত পরিসরে ব্যবহৃত হয়নি, আর এটি অনিরাপদ।