এবার চন্দ্রভিযানে বেসরকারি সংস্থা

এই প্রথম কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে চাঁদে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার ফ্লোরিডাভিত্তিক এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মার্কিন সরকারের কাছ থেকে এই অনুমতি পায়।

নিলয় সিদ্দিকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 August 2016, 06:26 PM
Updated : 4 August 2016, 06:26 PM

এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সাল থেকে বছর তাদের রোবট পাঠাতে পারবে বলে জানা যায়। ফার্ম এর প্রতিষ্ঠাতা প্রধান বব রিচার্ডস বলেন, এই প্রথমবারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেদেশের কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে পৃথিবীর কক্ষপথ অতিক্রম করার অনুমতি দিল।

মুন এক্সপ্রেস মিশনকে অনুমতি দেওয়ার মাধ্যমে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন চাঁদ, অন্যান্য গ্রহ এবং মঙ্গলে বাণিজ্যিক অভিযানের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে, এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে রয়টার্স। এফএএ-এর অনুমতিতে মুন এক্সপ্রেস পরিকল্পনা করছে তারা ২০১৭ সালে দুই সপ্তাহের অভিযানের জন্য সুটকেস সাইজের একটি ল্যান্ডার পাঠাবে, জানিয়েছেন বব রিচার্ডস।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, মহাকাশযানটি তার একমুখী যাত্রায় বেশ কয়েকটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করবে এবং বাণিজ্যিক পণ্য নিয়ে যাবে, সঙ্গে থাকছে দাহ করা মানুষের দেহাবশেষ। পরবর্তীতে এই মহাকাশযান ছবি এবং ভিডিও পৃথিবীতে পাঠাবে।

এর আগে কোনো সরকারি সংস্থারই পৃথিবীর কক্ষপথ অতিক্রমে অনুমতি প্রদানের দায়িত্ব ছিল না এবং এটি দেখাশোনা করার দায়িত্ব ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। ১৯৬৭ সালের এক আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেদেশ থেকে পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরের সব বেসরকারি সংস্থার ফ্লাইটের দায়ভার বহন করবে এবং যুক্তরাষ্ট্র বাদে বাকী অভিযানগুলো সংশ্লিষ্ট সরকারগুলো চালিয়েছে।

এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে রিচার্ডস বলেন, “এটি আমাদের জন্য অনেক বড় পদক্ষেপ ছিল কিন্তু আমরা অভিযানটি একই সঙ্গে করতে চেয়েছি”। আশা করা যায় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানটিও শীঘ্রই এই কাঠামো অনুসরণ করবে।

স্পেস এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিস-এর প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক ২০১৮ সালে মঙ্গলে একটি মহাকাশযান পাঠানোর পরিকল্পনা করছেন, যা পৃথিবীর প্রাণ রক্ষা এবং তা বিলীন মোকাবেলা করতে সাহায্য করবে বলে বলা হচ্ছে।

যদিও প্রাণ রক্ষা নিয়ে মুন এক্সপ্রেস কিছু করছে না, কিন্তু অ্যাপোলো এবং চাঁদে অবতরণ নিয়ে ঐতিহাসিক তর্কবিতর্ক সম্পর্কে উদ্বেগ রয়েছে তাদের। রিচার্ডস জানান বিদ্যমান নিয়ম মেনেই তারা এই অভিযান প্রস্তাব করেন এবং নাসা ও অন্যান্য মার্কিন সংস্থাও এই ব্যাপারে একমত পোষণ করে যে নতুন কোনো আইনের প্রয়োজন নেই। তিনি আরও যোগ করেন, চুক্তির অংশ হিসেবে নাসা পরামর্শ দিতে পারবে কিন্তু অভিযানটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।