স্যামসাং দ্বন্দ্বে অ্যাপলের পক্ষে ডিজাইনাররা

পণ্যের 'বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত' নকশা মানুষকে তা কিনতে উদ্বুদ্ধ করে- এমন যুক্তিতে পেটেন্ট নকশা লঙ্ঘনের দায়ে করা মামলায় অ্যাপল স্যামসাংয়ের কাছ থেকে কোটি কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকার রাখে, মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই মত দিয়েছেন ডিজাইন খাতের পেশাদারদের একটি দল।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 August 2016, 05:52 PM
Updated : 4 August 2016, 05:59 PM

অ্যাপল-কে সমর্থন করে শতাধিক ডিজাইনার আর শিক্ষাবিদ আদালতে সই করেন। এর মাধ্যমে তারা স্যামসাং-কে সমর্থন করা সিলিকন ভ্যালি'র কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিতণ্ডায় লিপ্ত হলেন বলে ভাষ্য রয়টার্স-এর।

অ্যাপলের পক্ষে দাঁড়ানোর তালিকায় রয়েছে কেলভিন ক্লেইন, পল স্মিথ-এর আর আলেক্সান্ডার ওয়েংয়ের মতো ফ্যাশন নাম। রয়েছেন পারসন্স স্কুল অফ ডিজাইন-এর শিল্পবিষয়ক নকশা পরিচালক, গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বেন্টলি মটর্স-এর নকশা পরিচালক আর ওয়ালপেপার সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক টনি চেম্বার্সও।

ডিজাইনাররা বলেন, "গ্রাহকদের মনে, পণ্যের চেহারা এর ভেতরকার ফিচার, ফাংশন আর পুরো ব্যবহার অভিজ্ঞতার প্রতিনিধিত্ব করে।"

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এই স্মার্টফোন প্রতিদ্বন্দ্বীরা পেটেন্ট নিয়ে ২০১১ সাল থেকেই বিতর্কে জড়িত। আইফোনের পেটেন্ট, নকশা আর ট্রেডমার্কের নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত করে অ্যাপল স্যামসাংয়ের বিরুদ্ধে মামলা করলে এই বিতর্কের সূচনা হয়।

এরই মধ্যে ২৯ জুলাই অ্যাপল জানায়, স্যামসাং এখনও নকশার পেটেন্ট লঙ্ঘনে সম্পূর্ণ পণ্যের পরিবর্তে পণ্যের একটি অংশের উপর সিদ্ধান্ত নেওয়ার যুক্তির পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি। সর্বোচ্চ আদালত মামলাটিকে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য আবার নিম্ন আদালতে পাঠানোর কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল না বলেই দাবি করে অ্যাপল।

২০১২ সালে আদালত অ্যাপলকে ৯৩ কোটি মার্কিন ডলার পরিশোধে স্যামসাংকে নির্দেশ দেয়। তখন থেকে স্যামসাং এই অংক কমানোর চেষ্টা করছে।

২০১৫ সালের মে-তে স্যামসাংয়ের প্রচেষ্টা কিছুটা হলেও কাজে দেয়। সে সময়, ইউএস কোর্ট অফ আপিল ফর দ্য ফেডারেল সার্কিট ট্রেডমার্কের দায়ে ধার্য করা ক্ষতিপূরণ কমিয়ে দেয়। যদিও দক্ষিণ কোরীয় প্রতিষ্ঠানটিকে আইফোনের সামনের দিকের বৃত্তাকার কোণা আর সরু রঙ্গিন আইকনের গ্রিডের নকশাসহ পেটেন্ট নীতি লঙ্ঘনের দায়ে দাঁড় করায় আপিল বিভাগ।

এ নিয়ে চলা নানা আইনি প্রক্রিয়া শেষে চলতি বছর জুনে একটি ফাইলিংয়ে চলমান মামলাটি নিম্ন আদালতে ফেরত পাঠানো উচিত বলে জানায় বিচার বিভাগ।

কিন্তু অ্যাপল দাবি করে, স্যামসাংকে আরও যুক্তি দেখাতে সর্বোচ্চ আদালতের অনুমতি দানে কোনো কারণ ছিল না।