মহাদেশটির স্টার্টআপগুলো ভোক্তাদের জন্য বিকল্প লাভজনক উপায় খুঁজে বের করছে।
ডেভেলপাররা এমন অ্যাপ বানানোর চিন্তা করছেন যা এসএমএসভিক্তিক হবে যেন কোটি কোটি মানুষ, যাদের স্মার্টফোন নেই, তারা সাধারণ ফোন ব্যবহারের মাধ্যমেই সংযুক্ত হতে পারেন।
বিকল্প পদ্ধতিগুলোর মধ্যে একটি হল অ্যাপ্লিকেশন টু পারসন মেসেজ যাকে আবার ভিন্ন নামে এন্টারপ্রাইজ টু পারসন মেসেজ হিসেবেও ডাকা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে একজন ভোক্তাকে একটি বিজনেস সার্ভার থেকে মেসেজ পাঠানো হয়। এসব মেসেজ হতে পারে বিভিন্ন তথ্যভিত্তিক, যা গ্রাহকরা ফি'র বিনিময়ে কিনবেন। এর বিল মাসিক ভিত্তিতে বা প্রতি ব্যবহারের ভিত্তিতে হতে পারে। আর এই বিলের অংশ থেকে ডেভেলপাররা আয় করবে।
আফ্রিকায় এই আপাতদৃষ্টিতে উল্টোমুখী মনে হওয়া পদ্ধতির সুবিধাও আছে। দেখা গেছে, কিছু ক্ষেত্রে স্মার্টফোনের অ্যাপ বানানোর চেয়ে মৌলিক অ্যাপ বানানো লাভজনক। ইনফোবিপ-এর তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যারিয়ার অরেঞ্জের বিপনণ প্রধান আরনল্ড ব্লনডেট আশা করছেন সাত হাজার কোটিরও বেশি এটুপি বার্তা এ পদ্ধতিতে পাঠানো হবে, জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
এর কারণগুলো হল-
প্রথমত, এসএমএস সর্বব্যাপী এবং পরিব্যাপক। ওপেন মার্কেট এর তথ্য অনুযায়ী এসএমএস এর উপর ভিক্তি করে গড়ে ওঠা অ্যাপ ব্যাবহারের জন্য ইন্টারনেটের প্রয়োজন না থাকায় বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৩ শতাংশ মানুষ এ সব অ্যাপ ব্যবহার করতে সক্ষম হবে।
দ্বিতীয়ত, গিগাওমের রিপোর্ট অনুযায়ী ৯০ শতাংশ মানুষ প্রথম তিন মিনিটের মধ্যেই এসএমএস পায় এবং এসএমএস পড়ার হার ৯৮ শতাংশ, যা ইমেইলের সঙ্গে তুলনা করলে মাত্র ২২ শতাংশ।