সামাজিক মাধ্যমকে ছাড়িয়ে চ্যাট অ্যাপ

শুরুতে কেবল বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট করার জন্য মেসেজিং অ্যাপে লগ ইন করা হলেও, এখন বিশ্বজুড়ে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে পণ্যদ্রব্য খুঁজতে এবং অন্যান্য বিষয়বস্তু দেখার জন্য এসব অ্যাপ ব্যবহার করছেন ব্যাপকভাবে।

তাহমিন আয়শা মুর্শেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 July 2016, 02:20 PM
Updated : 31 July 2016, 02:20 PM

বার্তা আদান প্রদানের সুবিধার জন্য এসব অ্যাপ আর এপিআই এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপুর্ণ ছবি, ভিডিও এবং জিফও যুক্ত করা হয়েছে। 

চ্যাট অ্যাপগুলোতে এমন কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য আনা হচ্ছে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো ব্যবসায় আর বিপনণকারীদের আকর্ষণ করে।

শীর্ষ চারটি সামাজিক মাধ্যমের সঙ্গে শীর্ষ চারটি চ্যাট অ্যাপ তুলনা করলে দেখা যায় চ্যাট অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি, জানিয়েছে ব্যবসায়-বাণিজ্যবিষয়ক মার্কিন সাইট বিজনেস ইনসাইডার। এমনকি অন্যান্য মোবাইল অ্যাপের চেয়ে চ্যাট অ্যাপের মেমোরি ধরে রাখার ক্ষমতা আর ব্যবহারও তুলনামুলকভাবে বেশি। তা ছাড়াও মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহারকারীদের সংখ্যাগরিষ্ঠ হল তরুণ, যা ব্র্যান্ড, বিজ্ঞাপনদাতা ও প্রকাশকদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র।

বিজনেস ইনসাইডার-এর বাজার গবেষণা সংস্থা বিআই ইনটেলিজেন্স-এর এক প্রতিবেদনে মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশনের আকার, কীভাবে এই অ্যাপ্লিকেশনগুলো পরিবর্তন হয় আর অর্থ নগদীকরণের সুযোগ নিয়ে ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।

ওই প্রতিবেদনের উল্লেখযোগ্য অংশগুলোকে এভাবে বিশ্লেষণ করা যায়-

* মোবাইল মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন অত্যন্ত শক্তিশালী। বৃহত্তম এসব সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কোটি কোটি 'মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী' রয়েছে। সুলভ তথ্যের দাম, তুলনামুলক সস্তা ডিভাইস আর অ্যাপগুলোর উন্নত বৈশিষ্ট্য তাদের প্রবৃদ্ধি চাঙ্গা করতে সাহায্য করছে।

* মেসেজিং অ্যাপে মেসেজিংয়ের চেয়ে বেশি কিছু রয়েছে। চ্যাট অ্যাপ্লিকেশন বিপ্লবের প্রথম পর্যায়ে কেবল ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে, প্রতিষ্ঠানের সেবা প্রতিষ্ঠা এবং চ্যাট অ্যাপগুলো ব্যাপক লাভজনকভাবে ইউজার বেইস ব্যবহারের উপর জোর দেয়।

* 'উইচ্যাট', 'কাকাওটক' এবং 'লাইনের' মতো জনপ্রিয় এশীয় মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশনগুলো তাদের ব্যবহারকারীদের ধরে রাখার উদ্ভাবনী উপায় খুঁজে নেতৃত্ব নিয়েছে। তারা তাদের সেবা লাভজনকভাবে ব্যবহারের জন্য প্রতিনিয়ত কৌশল তৈরী করে যাচ্ছে।

* মিডিয়া প্রতিষ্ঠান এবং বিপণনকারীরা এখন ফেইসবুক ও টুইটারের মতো সামাজিক নেটওয়ার্কের চেয়ে মেসেজিং সেবায় বেশি সময় এবং সম্পদ বিনিয়োগ করছে।