চলতি বছরের ৭ মে টেসলার অটোপাইলট ফিচার ব্যবহারকালীন দূর্ঘটনার শিকার হয় প্রতিষ্ঠানের মডেল এস গাড়ি। ওই দূর্ঘটনায় প্রাণ হারান জোসুয়া ব্রাউন নামের ফ্লোরিডার এক বাসিন্দা। টেসলার অটোপাইলট ফিচার ব্যবহারে এটিই প্রথম প্রাণহানীর ঘটনা বলে, জানিয়েছে রয়টার্স।
দূর্ঘটনার পর প্রায় তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সঠিক কারণ বের করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। দূর্ঘটনার কারণ হিসেবে দু'টি তত্ত্ব দাঁড় করিয়েছে টেসলা। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়, এটি 'সিস্টেমের ব্যার্থতা' কিনা সেটি এখনও বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এক্ষেত্রে গাড়ির রেডার এবং ক্যামেরার ত্রুটিকে বিচার করে দেখছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রথমত ধারণা করা হচ্ছে রেডার এবং ক্যামেরা ট্রাকটি শনাক্ত করতে ব্যার্থ হওয়ায় জরুরী অবস্থার ব্রেকটি কাজ করেনি। দ্বিতীয়ত রেডার ট্রাকটি শনাক্ত করতে পারলেও সেই তথ্যগুলো ব্রিজ পার হওয়ার সময় অযাচিত ব্রেক বাতিল করার প্রক্রিয়ার সঙ্গে তালগোল পাকানোর কারণে দূর্ঘটনাটি ঘটতে পারে।
এব্যাপারে টেসলার পক্ষ থেকে কেউ কোনো মন্তব্য করতে রাজী হয়নি। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শুধু জানানো হয়, তাদের ধারণা গাড়ির রেইডার বা ক্যামেরা ত্রুটির কারণে দূর্ঘটনা ঘটেনি। দূর্ঘটনার কারণ হিসেবে অন্যান্য বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে কিনা সেটি স্পষ্ট নয়।
দূর্ঘটনার কারণ হিসেবে ৩০ জুন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক এক টুইট বার্তায় বলেছিলেন, "রেইডার রাস্তায় 'ওভারহেড' সাইনের মত দেখতে এমন বস্তুগুলো বিবেচনা করে অযাচিত ব্রেক এড়িয়ে যায়।"
এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে একটি ব্লগ পোস্টে বলা হয়, "অটোপাইলট এবং গাড়ির চালক কেউই প্রখর সূর্যের আলোর কারণে ট্রাকের সাদা পাশটি দেখতে পাননি।"
২৬ জুলাই মার্কিন ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট সেইফটি বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে দূর্ঘটনাকবলিত ওই মডেল এস গাড়িটি ঘন্টায় ৭৪ মাইল বেগে চলছিলো। যেখানে ওই রাস্তার গতিবেগ নির্ধারণ করা ছিলো ঘন্টায় ৬৫ মাইল।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/অমি/এইচবি/জুলাই ৩১/২০১৬