বাইব্যাকের অংশ হিসেবে খোলা বাজার থেকে প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫০ লাখ শেয়ার পুনরায় কিনে নিয়েছে অ্যালফাবেট। এই শেয়ারগুলোর মূল্য হিসাব করা হয়েছে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার, জানিয়েছে ব্যবসা বাণিজ্য বিষয়ক প্রকাশনা বিজনেস ইনসাইডার।
শেয়ারবাজার থেকে যখন কোনো প্রতিষ্ঠান নিজের শেয়ারই ফের কিনে নেয় তখন তাকে শেয়ার বাইব্যাক বা শেয়ার রিপার্চেজ বলা হয়। এর ফলে শেয়ার বাজারে ওই প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয়যোগ্য মোট শেয়ারের সংখ্যা কমে যায়। শেয়ার বাইব্যাকের প্রচলিত অর্থ হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানটি মনে করছে, যে মূল্যে শেয়ার কেনাবেচা হচ্ছে তা যথেষ্ট নয়।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে প্রথমবারের শেয়ার বাইব্যাকে গুগল কতটা লাভবান বা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে?
অ্যালফাবেটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে গত বছরের অক্টোবর থেকে চলে আসা তাদের এই বাইব্যাক সফলভাবে শেষ হয়েছে হয়েছে। বিজিসি বিশেষজ্ঞ কলিন গিলিস-এর মতে প্রতি শেয়ারে প্রতিষ্ঠানটি লাভ করেছে তিন সেন্ট। এটিকে অ্যালফাবেটের সফলতা হিসেবেই দেখছেন তিনি। কারণ শেয়ারগুলো এখন যে দোমে বেচাকেনা হচ্ছে তার চেয়ে কম দামে শেয়ার কিনেছে প্রতিষ্ঠানটি।
তিন সেন্ট লাভটা খুব বড় না হলেও এটাকে একটি ভালো শুরু হিসেবেই দেখছেন গিলিস। তিনি বলেন, "আমি মনে করি আমরা পরবর্তী বোর্ড মিটিংয়ে আরেকটি বাইব্যাক দেখতে পাবো।"
সদ্য শেষ হওয়া এই বাইব্যাকে গুগলের স্টক বেড়ছে ১৯ শতাংশ। আর বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের তহবিলে জমা রয়েছে ৭৮০০ কোটি মার্কিন ডলার। সেখান থেকে খুব সহজেই প্রতিষ্ঠানটি আরেকটি বাইব্যাক শুরু করতে পারে বলেও জানান গিলিস।
আরেকটি বাইব্যাক নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অর্থ বিষয়ক কর্মকর্তা রুথ পোরাট জানান, প্রতিষ্ঠানটি সবসময় তাদের ব্যালান্স শিট এবং মূলধনের প্রয়োজনীয়তা বোর্ডের সামনে বিবেচনা করে দেখে। তাই "আমি বোর্ডের ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু মন্তব্য করতে চাই না।"