শুক্রবার এই পর্বের সর্বশেষ আক্রমণের খবর জানা যায়। ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটি আর ইউ.এস. হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস প্রার্থীদের জন্য দলের অর্থ তহবিল সংগ্রহকারী কমিটি-এর উপর এই আক্রমণ চালানো হয়।
ডেমোক্রেটিক দলের সংগঠনগুলোর উপর আনা এই সাইবার আক্রমণগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা জন্য হুমকি কিনা তা খতিয়ে দেখছে মার্কিন বিচার বিভাগ, জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগ, সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে এ খবর জানিয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক মার্কিন সাইট বিজনেস ইনসাইডার। ওবামা প্রশাসন এই হ্যাকিং-কে কোনো রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় আক্রমণ হিসেবেই দেখছে- এই বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগের জড়িত হওয়ার মাধ্যমে এমন ইঙ্গিতই পাওয়া যায় বলে তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তি এমন মন্তব্য করেছেন।
হিলারির প্রচারণা কৌশলবিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জেক সালিভান প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প-কে নিয়ে সমালোচনা করেন এবং এই হ্যাকিং-কে 'একটি জাতীয় নিরাপত্তা ইসু' হিসেবে চিহ্নিত করেন। তবে, এ বিষয়ে প্রচারণার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
মন্তব্য করেনি দেশটির বিচার বিভাগও।
হিলারির প্রচারণায় ব্যবহৃত কম্পিউটার সিস্টেমের কোন কোন তথ্য হ্যাকাররা অ্যাকসেস করতে সমর্থ হয়েছিলেন তা এখনও স্পষ্ট করা হয়নি।
কারা এই হ্যাক চালায়? প্রশ্নের জবাবে কোনো সুসপষ্ট প্রমাণ এখনও পাওয়া না গেলেও, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা দাবি করেছেন ‘হ্যাকাররা রাশিয়ান’। এ নিয়ে এখনও রাশিয়ার পক্ষ থেকে কোনো জবাব আসেনি।
হ্যাকাররা ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসনাল ক্যাম্পেইন কমিটি (ডিসিসিসি)-এর পুরো নেটওয়ার্কেই অ্যাকসেস নেয় বলে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে রয়টার্সকে। এর ফলে হ্যাকারদের হাতে ইমেইল থেকে শুরু করে কৌশলবিষয়ক দলিল আর বিরোধীদের নিয়ে করা গবেষণা পত্রও চলে যাওয়ার কথা।
এই ঘটনা তদন্তে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ক্রাউডস্ট্রাইক-কে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে ডিসিসিসি। এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলে, "আমরা আমাদের নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা উন্নত করতে ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছি এবং আরও নিচ্ছি। আমরা সরকারি আইন-শৃংখলা প্রণয়নকারী সংস্থাগুলোকে তাদের চলমান তদন্তে সম্মান জানিয়ে সহযোগিতা করছি।"