ভিআর-এ ডটা

ডিফেন্স অফ দ্য এনশিয়েন্টস (ডটা) গেইমের ভক্তরা এখন ভার্চুয়াল রিয়ালিটির মাধ্যমে দেখতে পারবেন রণাঙ্গণের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট।

জাকিয়া শবনম বৃষ্টিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 July 2016, 05:41 PM
Updated : 30 July 2016, 05:41 PM

চলতি সপ্তাহে বাজারে ছাড়া এইচটিসি ভাইভ হেডসেটের নতুন সংস্করণের মাধ্যমে ‘স্পেক্টেটর হাব’ দিয়ে এই সুযোগ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।  খেলোয়াড়রা একটি বিশাল ভার্চুয়াল পর্দার মাধ্যমে খেলার সময় রণাঙ্গণের চারদিকে ঘুরে ঘুরে দেখার অনুভূতি পাবেন। 

আন্তর্জাতিক ই-স্পোর্টস টুর্নামেন্টের শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে বাজারে ছাড়া হয়েছে হাবটি। এই টুর্নামেন্টে ডটা খেলোয়াড়রা ১,৮০,০০,০০০ মার্কিন ডলারের পুরষ্কারের একটা অংশ জেতার চেষ্টা করবেন।

গেইম ডেভেলাপার ভাল্ভের সৃষ্ট ডটা ২ একটি যুদ্ধের গেইম, যেখানে পাঁচজন খেলোয়াড়ের দুটি দল একটি ছোট মানচিত্রের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন লড়ে। ভাইভ হেডসেটের তৈরিতে ভাল্ভ একটি প্রধান অংশীদারও।

ভাল্ভের হাব সিস্টেম একটি ভার্চুয়াল ‘লবি’-কে নিয়ে আবর্তিত যার মাধ্যমে খেলোয়াড়রা কোনো আর্কাইভ করা ম্যাচ দেখতে পারেন বা কোনো টুর্নামেন্ট গেইম চলাকালীন তা অনুসরণ করতে পারেন। হাবটি এইচটিসি ভাইভের মালিকদের নিজেদের জন্য আর সর্বোচ্চ ১৬ জন ব্যক্তির জন্যও ব্যক্তিগত লবি বানাতে দেবে।

খেলোয়াড়রা লবির চারদিকে ঘুরতে পারবেন আর ভয়েস চ্যাটের মাধ্যমে উপস্থিত থাকা অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে কথাও বলতে পারবেন।

খেলোয়াড় কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত চরিত্রদের একে অপরের সঙ্গে লড়াই করতে আর কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত মিনিয়ন দেখার জন্য গেইমে একবার সিস্টেমটি খেলোয়াড়দের উপর থেকে দেখতে বা গ্রাউন্ড লেভেলে যেতে দেয়।

প্রতিবেদক স্যাম ম্যাকোভেচ আর্টস টেকনিকা-তে লিখেন, যারা ইন-গেইম সিস্টেম দিতে ডটা গেইম দেখবে তারা ক্যামেরার চারদিকে ঘোরার পদ্ধতির সঙ্গে অভ্যস্ত হওয়ার সময় ‘লার্নিং কার্ভ’ নামের একটি বাঁধার সম্মুখীন হবে। “অনেক বছর ধরে মানুষ স্বপ্ন দেখে আসছে পেশাদার ক্রীড়া লিগে এরকম মাথা খারাপ করার মতো ‘ইন-গেইম ভিউইং স্ক্রুটিনি’র”, তিনি বলেন। “কিন্তু লেব্রোন জেমস বা লিওনেল মেসিকে আমরা কীভাবে দেখব তার উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকার পরিবর্তে দর্শকরা তা করতে পারবেন ড্যান্ডি আর অ্যাডমিরাল বুলডগের সঙ্গে।“

২০১৫ সালে মার্কিন ডটা ২ দল ইভিল জিনিয়াসেস টুর্নামেন্টটি জিতে পুরষ্কার হিসেবে ৬৬ লাখেরও বেশি মার্কিন ডলার ঘরে নিয়ে গিয়েছিল।