স্যান ফ্রানসিসকোভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি জানায়, সাধারণ তারবিহীন কিবোর্ডগুলোতে যা-ই টাইপ করা হোক না কেন, তাই 'ক্লিয়ার টেক্সটে' ট্রান্সমিট করা হয়, ফলে সর্বোচ্চ আড়াইশ' ফুট দূর থেকে পর্যন্ত তাতে আড়ি পাতা সম্ভব হয়।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা ইভান ও'সালিভান বলেন, "আমরা অনেকগুলো বড় দোকানে গিয়ে তারবিহীন কিবোর্ড কিনেছি। আমরা এটা দেখে আশ্চর্য হয়েছি যে দুই-তৃতীয়াংশ কিবোর্ড কোনো এনক্রিপশন ছাড়াই ক্লিয়ার টেক্সটে তথ্য পাঠিয়ে থাকে। ফলে কিবোর্ডে প্রতিটি কিস্ট্রোক হ্যাকাররা সর্বোচ্চ আড়াইশ' ফুট দূর থেকে পড়ে ফেলতে পারে, এমনকি কাঁচ, দেওয়াল, মেঝের মধ্য দিয়েও।"
এ বিড়ম্বনা এড়াতে কম্পিউটারে তারবিহীন কিবোর্ডের জন্য রেডিও সিগন্যালের বদলে ব্লুটুথ ব্যবহার বা তারযুক্ত কিবোর্ড ব্যবহারের পরামর্শ দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটির গবেষকদের বরাতে বিবিসি জানায়, এ পরীক্ষায় তারা ত্রুটিপূর্ণ কিবোর্ড বানাচ্ছে এমন মোটে ১২টি প্রতিষ্ঠানের খোঁজ পান। ঝুঁকিপূর্ণ কিবোর্ডগুলোর রেডিও সিগন্যালে খুব সহজেই আড়ি পাততে এমনকি কিবোর্ডের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিজেদের খুশিমতো কিস্ট্রোক বসাতে পারছিলেন তারা।
এ কিবোর্ডগুলোর ফার্মওয়্যার আপডেটের অযোগ্য হওয়ায় এগুলো ব্যবহারে ঝুঁকি রয়েই যায় বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি। তবে প্রতিষ্ঠানটি লজিটেক, ডেল এবং লেনোভো-এর তারবিহীন কিবোর্ডে উচ্চমানের চিপ ও শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রশংসা করে।
গবেষক মার্ক নিউলিন জানান, ব্যস্ত অফিসে এ ধরনের প্রতিটি কিবোর্ডের রেডিও সিগন্যাল আলাদা রাখার কারণে তা হ্যাক করা সম্ভব। তবে হ্যাকাররা এ ত্রুটিটি ব্যবহার করে কোনো অপকর্ম চালিয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনো নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেননি তিনি। বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আমাদের কাছে এমন কোনো প্রমাণ নেই। এ ব্যাপারটি সম্পূর্ণ পরোক্ষ, তাই এতে অপরাধের শিকার কারও কথা জানা যায় না।"
এর আগে এ বছরের শুরুতে তারবিহীন মাউস নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েও একই ফলাফল পায় বাসটিল।