এখন প্রশ্ন উঠতে পারে প্রতিষ্ঠান বিক্রি হলে ইয়াহুর বর্তমান প্রধান নির্বাহী মারিসা মায়ারের কি হবে?
একটি মেইলের মাধ্যমে মায়ার তার সহকর্মীদের জানান ইয়াহু ছাড়ার কোনো ইচ্ছা নেই তার। তিনি বলেন, "ব্যক্তিগতভাবে আমি এখানে থাকার পরিকল্পনা করছি। আমি ইয়াহুকে ভালোবাসি এবং আপনাদের সবাইকে বিশ্বাস করি। ইয়াহুকে পরবর্তী অধ্যায়ে দেখাটা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।"
নিজের ইচ্ছা থাকলেও সেটি একান্তই মায়ারর উপর নির্ভর করছে না। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট রিকোড-এর পক্ষ থেকে এক সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, "আগামী ছয় থেকে নয় মাসের মধ্যে লেনদেনটি বাস্তবায়ন করা হবে।" এ ছাড়াও নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, "মায়ার ভেরাইজনে যোগ দেবেন এমনটা আশা করা হচ্ছেনা।"
ইয়াহুর নীতি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে মায়ারকে অপসারণ করা হলে তাকে ৫.৪৯ কোটি মার্কিন ডলার 'ক্ষতিপূরণ মূল্য' পরিশোধ করতে হবে বলে, জানিয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়ক প্রকাশনা বিজনেস ইনসাইডার। এই মূল্য তিনি তখনই পাবেন যদি তাকে অপসারণ বা প্রতিষ্ঠানের মালিকানা পরিবর্তন করা হয়। ২০১৫ সালে তার ক্ষতিপূরণ মূল্য ছিলো ৩.৬০ কোটি ডলার।
প্রায় চার বছর আগে ইয়াহুর প্রধান নির্বাহী নির্বাচিত হন মারিসা মায়ার। তার তত্ত্বাবধানে নতুন করে ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা থাকলেও বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন ইয়াহুতে তার সময় ফুরিয়েছে। শুধু তাই নয় প্রতিষ্ঠানটি নিজেও শেষ সীমায় পৌঁছে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ব্যবসা বাড়াতে মায়ার বেশকিছু উদ্যোগ নিলেও সেগুলো খুব একটা কাজে আসেনি। মায়ারের তত্ত্বাবধানে ডিজিটাল ম্যাগাজিন, স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট অ্যাপ ব্যবসায় মনযোগ দেয় ইয়াহু। এ ছাড়াও ১১০ কোটি মার্কিন ডলারে মাইক্রোব্লগিং সাইট টাম্বলার অধিগ্রহণ করে প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রান্তিকে এসব খাত থেকে আয় ছিল ৭ শতাংশেরও কম।
এই প্রান্তিকে ইয়াহুর সর্বমোট বিক্রির পরিমাণ আশা করা হচ্ছে ১০৮.১ কোটি মার্কিন ডলার। গত বছর একই প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির বিক্রির পরিমাণ ছিলো ১২৪ কোটি ডলার।