রয়টার্স জানিয়েছে, গ্রাহকের সম্মতি ছাড়াই উইন্ডোজ ১০ এর মাধ্যমে অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহ করে থাকে মাইক্রোসফট। এসব তথ্য বিবেচনা করেই গ্রাহককে বাছাই করা বিজ্ঞাপন দেখিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।
গ্রাহকের ব্রাউজিংয়ে নজরদারী বন্ধে তিন মাস সময় ছিল মাইক্রোসফটের। সেটি করতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে- এমনটা জানানো হয়েছিল আগেই। মাইক্রোসফটের সংগ্রহ করা তথ্য বিবেচনা করেই উইন্ডোজ এবং তৃতীয় পক্ষের অ্যাপগুলো গ্রাহককে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে থাকে।
২০১৫ সালের জুলাইয়ে উন্মোচন করা হয় উইন্ডোজ ১০। উন্মোচনের পর থেকেই সেটিতে নজরদারী করে আসছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বেশকিছু তথ্য সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ।
ফ্রান্সের তথ্য সুরক্ষা সংস্থা সিএনআইএল এর পক্ষ থেকে বলা হয়, মাইক্রোসফটভ গ্রাহকের কাছ থেকে যে তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো অতিরিক্ত। তাদের সেবার জন্য ওই তথ্যগুলোর কোনো প্রয়োজন নেই। "তাদের লক্ষ্য প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন বন্ধ করা নয়, বরং গ্রাহককে স্বাধীনভাবে সেটি বাছাইয়ের সুযোগ দেওয়া।"
গ্রাহকের গোপনীয়তা ভঙ্গের জন্য বড় অংকের জরিমানা গুনতে হতে পারে মাইক্রোসফটকে। দুই বছরের জন্য বিশ্ব জুড়ে প্রতিষ্ঠানের সর্বমোট আয়ের চার শতাংশ জরিমানার পরিমাণ ধার্য করা হতে পারে বলে জানানো হয়।