বন্ধ হওয়া টুইটারে অ্যাকাউন্টগুলোর মধ্যে একটি থেকে জোনসকে কৃষ্ণাঙ্গ বলে তাকে টুইট করা হলে মিলো ইয়ানোপোলস নামের ব্যাক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, জানিয়েছে রয়টার্স। বারবার হয়রানির জন্য তাকে টুইটার থেকে ব্লক করেন জোনস।
ব্লক করার পরও থেমে থাকেননি ইয়ানোপোলস। ব্লক করার পর তিনি একটি স্ক্রিনশট দিয়ে টুইট করেন। টুইটে লেখা ছিলো, "আরেকজন কৃষ্ণাঙ্গ মহিলার দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হলাম।" ইয়ানোপোলসের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ আনা হলে তার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ।
মিলো ইয়ানোপোলস নামের ওই ব্যক্তি মার্কিন সংবাদ সাইট ব্রেইবার্ট-এর প্রযুক্তি সম্পাদক। গত কয়েক বছর ধরেই টুইটারে উত্তেজনা ছড়িয়ে আসছিলেন তিনি। তার অ্যাকাউন্ট বাতিল করার পাশাপাশি টুইটার থেকে তার টুইটও সরিয়ে ফেলা হয়।
এই বিষয়ে রয়টার্সের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি তিনি। ২০ জুলাই সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তার বিরুদ্ধে করা লিঙ্গবৈষম্য এবং বর্ণবাদী টুইটের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন একমাত্র 'প্রমাণ' হলো যে, তিনি জোনসকে বিরক্ত করেছেন কারণ তার মুভি ভালো লাগেনি ইয়ানোপোলসের। তিনি আরও জানান, অন্য মানুষের টুইটের জন্য তিনি দায়ী নন।
জোনস তার অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কিছু টুইট রি-পোস্ট করেন এবং সেগুলো শেয়ার করেন। এই টুইটগুলোতে তার লিঙ্গ এবং বর্ণ নিয়ে তাকে হয়রানি করা হয়। ১৮ জুলাই এই টুইট বার্তাগুলো পেয়েছেন তিনি। টুইটারে জোনস-এর অনুসারীর সংখ্যা আড়াই লাখ।
টুইটগুলো পাওয়ার পর জোনস বলেন, "আমি আজ রাতে চোখে পানি এবং অত্যন্ত দুঃখ ভরা হৃদয় নিয়ে টুইটার ছেড়েছি। এইসবের কারণ আমি একটি মুভি করেছি। আপনারা মুভিটে অপছন্দ করতে পারেন কিন্তু আমি আজ যে বার্তাগুলো পেয়েছি সেগুলো আমার প্রাপ্য না।"
হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় আগে থেকেই সমালোচিত হয়ে আসছিলো টুইটার। সম্ভবত এবার তাই দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
টুইটারের পক্ষ থেকে বলা হয়, "আমরা জানি অনেক মানুষই বিশ্বাস করেন না, আমরা টুইটারে এই ধরনের আচরণ বন্ধ করতে যথেষ্ট করছি। আমরা আমাদের টুলগুলোকে উন্নত করতে আরও বিনিয়োগ করছি যাতে আরও দ্রুত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি।"
এই সকল হয়রানি এড়াতেই অনেক সেলিব্রেটি টুইটার ব্যবহার করেন না বলে জানানো হয়।