প্রত্যাশা 'ছাড়ালেও', আয় কমেছে আইবিএম-এর

শেষ প্রান্তিকে বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে আয় অর্জন করেছে কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আইবিএম। ক্লাউডভিত্তিক সেবা ব্যবসায় বৃদ্ধির কারণে প্রতিষ্ঠানটির এই অর্জন এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ফুয়াদ তানভীর অমিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 July 2016, 01:26 PM
Updated : 19 July 2016, 01:26 PM

শেয়ার প্রতি সাড়ে ১৩ ডলার মূল্য নিয়ে পুরো বছরের পূর্বাভাসের সঙ্গেও তাল মিলিয়ে চলছে আইবিএম। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে ইংল্যান্ডের বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তেও প্রতিষ্ঠানটির উপর খুব একটা প্রভাব পড়েনি বলেই ধারণা রয়টার্সের।

আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এডওয়ার্ড জোনস বিশ্লেষক বিল ক্রেয়ার বলেন, "বিনিয়োগকারীরা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন ছিলেন, আর এখন ইউরোপে নিজেদের বড় পরিমাণে বিক্রির আশায় কিছুটা উল্টোমুখী হাওয়া থাকলেও তারা এই উদ্বেগ থেকে কিছুটা মুক্তি পাবেন।"

মোট আয়ের এক-তৃতীয়াংশই আইবিএম ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য আর আফ্রিকা থেকে অর্জন করে।

প্রধান নির্বাহী গিনি রমেটি প্রতিষ্ঠানের ক্লাউডভিত্তিক সেবা, নিরাপত্তা সফটওয়্যার আর ডেটা বিশ্লেষণার দিকে জোর দিচ্ছেন। ক্লাউড থেকে প্রতিষ্ঠানটির আয় ৩০ শতাংশ বেড়েছে, আগের প্রান্তিকে এই হার ছিল ৩৪ শতাংশ।  

এক সাক্ষাৎকারে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মার্টিন স্ক্রোটার বলেন, "আমাদের জন্য এটি সবচেয়ে বড় ক্লাউড হওয়ার বিষয় নয়, তা আমাদের লক্ষ্যও নয়, আমাদের লক্ষ্য সবচেয়ে ভালো হাইব্রিড সক্ষমতা রাখা।"

২০১৫ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়া একই প্রান্তিকের তুলনায় এবারের প্রান্তিকের প্রতিষ্ঠানটির মোট আয় ২.৮ শতাংশ কমে ২০২৪ কোটি ডলারে এসে ঠেকেছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রচলিত হার্ডওয়্যার ব্যবসায় পড়ে যাওয়ায় এমনটা ঘটেছে। 

বৈশ্বিক ব্যবসায় সেবা খাতে আইবিএম-এর ব্যবসায় থেকে আয় দুই শতাংশ কমে যায়, এই খাতের মধ্যেও পরামর্শ সেবা ব্যবসায়ও অন্তর্ভূক্ত। আর সিস্টেম হার্ডওয়্যারের খাতে সিস্টেমস ইউনিট-এ আয় কমেছে ২৩.২ শতাংশ।

এ নিয়ে টানা ১৭ প্রান্তিক ধরে আয় কমছে আইবিএম-এর। তবে, তা যতটা কমবে বলা আশংকা করা হয়েছিল, তা হয়নি। থমসন রয়টার্স-এর বিশ্লেষণা মতে, বিশ্লেষকদের গড় হিসাবে প্রতিষ্ঠানটির আয় ২০০২ কোটি ডলার হবে বলে আশা করা হচ্ছিল।   

প্রতিষ্ঠানটির মোট লাভ কমে আড়াইশ'কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।