মাইকেল গার্টেনবার্গ নামের এই বিশ্লেষককে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ক্যালিফোর্নিয়ার কুপার্টিনোতে চাকরি দেওয়া হলে তিনি করবেন কিনা, যেখানে তার পদমর্যাদা কী হবে সে বিষয়ে কোনো কিছু জানানো হয়নি, এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে স্কাই নিউজ।
গোপনীয়তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে বরাররই নাম আছে অ্যাপলের। প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমে গার্টেনবার্গ-কে মুখ না খুলতে সতর্ক করে দিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা নাকি তাকে বলেছেন, "অ্যাপল এক মুখে কথা বলে, আর আপনি এখনও 'আমাদের' একজন নন।"
এক কনফারেন্স কল-এ ব্যবসায় আর রীতি নিয়ে অ্যাপলের সঙ্গে তিনি কথা বলার সঙ্গে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। কলের শেষে অ্যাপল ভাইস প্রেসিডেন্ট গ্রেগ জজউইয়াক গার্টেনবার্গ-এর কাছে “৫-১০ মিনিট সময়” চেয়ে নেন।
"অ্যাপলের ভাইস প্রেসিডেন্টরা শুধু আড্ডা দেওয়ার জন্য বিশ্লেষকদের ডাকেন না। আমি যাচ্ছি। দুনিয়ায় আমি এমন কিছু করিনি, যা তাতে জজ বিরক্ত হবেন", মাইকেল গার্টেনবার্গ বলেন।
"তাই অ্যাপলের নম্বর ৪০৮ থেকে ফোন আসার সঙ্গে সঙ্গে আমি রিসিভ করলাম। জজ বলছিলেন, ‘মাইকেল, আমি জজ বলছি। দেখুন, এই মূহুর্তে আমার অনেক কথা বলার মতো সময় নেই। তাই বলা শেষেই আমি কেটে দিচ্ছি। আপনি কি আমাদের এখানে আসতে চান? আমাদের সঙ্গে কী আপনি কাজ করতে ইচ্ছুক?"
তাকে জানানো হয় চাকরির জন্য তাকে নিউ ইয়র্ক থেকে ক্যালিফর্নিয়াতে সরে যেতে হবে, তবে এ নিয়ে তাকে খুব কমই জানানো হয়।
গার্টেনবার্গ বলেন, "আমি তাকে বললাম, 'আপনি আমাকে জিজ্ঞাসা করছেন, আমি কাজ করব কিনা। এখন যদি আমি বলি, আমি ওয়েস্ট কোস্টে যেতে রাজি আছি, আপনি কি আমাকে বলবেন যে আমার কাজ কী হবে?' তখন জবাব আসে, 'হ্যা, অবশ্যই। ফিল (অ্যাপলের বিপনণ প্রধান) আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।'"
ক্যালিফোর্নিয়া যেতে সম্মত হওয়ার পর, তাকে বৈশ্বিক বিপনণবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালকের পদের কথা বলা হয় আর অন্যান্য বিষয় আলোচনার জন্য ডাকা হয়।
যদিও তিনি এখন অ্যাপলের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন, তবু অ্যাপলের গোপনীয়তা নীতি এখনও মেনে চলছেন। তাই অ্যাপলের সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা বললেও প্রতিষ্ঠানটিতে তার পদের কাজ ঠিক কী ছিল, তা কখনও প্রকাশ করেননি গার্টেনবার্গ।
“অ্যাপলের ভেতরে যা ঘটে, তা অ্যাপলেই থাকে”, বলেন তিনি।