২০১৩ সালে প্রথমবারের মত উন্মোচন করা হয় মার্কিন সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগলের অগমেন্টেড রিয়ালিটি ডিভাইস গুগল গ্লাস। বাজারে আসার পর বেশ সাড়া জাগাতে পারলেও গ্রাহকের কাছে তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি ডিভাইসটি।
দ্য ভার্জ-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, "যেহেতু প্লেনে অনেক জটিল এবং প্যাঁচালো তারের জাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তাই প্রযুক্তিবিদরা এটি হাতে তৈরি করে থাকে যা ল্যাপটপের পর্দায় পিডিএফ নির্দেশিকার উপর নির্ভরশীল।"
গুগল গ্লাস ব্যবহার করে কম্পিউটারের পর্দার ঝামেলা বাদ দেওয়া যেতে পারে। বোয়িংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয় গুগল গ্লাস ব্যবহারের ফলে তার সজানোর পেছনে সময় ২৫ শতাংশ কমে যায়। শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে এই কাজে ভুলের পরিমাণ প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে।
১৯৯৫ সাল থেকেই প্লেন তৈরিতে এআর গ্লাস ব্যবহার করে আসছে বোয়িং। মাথার উপর পর্দা সংযুক্ত তাদের পরীক্ষামূলক গ্লাসে দিয়ে কাজ করা কষ্টসাধ্য হওয়ায় পরবর্তীতে তারা গুগল গ্লাসের ব্যবহার শুরু করে বলে জানানো হয়।
প্রাথমিক পর্যায়ে গুগল গ্লাস তদের ডেটাবেইজ থেকে তথ্য গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে এপিএক্স ল্যাব প্রতিষ্ঠানের চাহিদা মত গুগল গ্লাসের জন্য 'স্কাইলাইট' নামের সফটওয়্যার প্লাটফর্ম তৈরি করে।
তাদের তৈরি গ্লাস অ্যাপ কর্মীদেরকে নিখুঁতভাবে কিউআর কোড স্ক্যান করতে সহায়তা করে। এর মাধ্যমে কর্মীরা তার সাজানোর সফটওয়্যার ব্যবহার করে এবং অন্য একটি কোড স্ক্যান করে তারা সাজানোর নির্দেশিকা দেখতে পায়। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে কর্মীরা গুগল গ্লাসে ভয়েস কমান্ড ফিচারও ব্যবহার করতে পারে বলে জানানো হয়।
গুগল গ্লাস জনপ্রিয়তা না পেলেও হাল ছাড়েনি গুগল। এরই মধ্যে গুগল গ্লাসের নতুন সংস্করণ তৈরির কাজ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।