ইইউ-এর তোপের মুখে গুগল

ইন্টারনেট অনুসন্ধানের ফলাফলে প্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকে নিজেদের শপিং সেবাকে পক্ষপাতমূলকভাবে আধিপত্য দেওয়ার দায়ে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে ইউরোপিয়ান কমিশন।

নাজিয়া শারমিনবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 July 2016, 02:05 PM
Updated : 16 July 2016, 02:05 PM

সম্প্রতি বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন গুগলের ক্ষমতার এ অপব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। এ ছাড়াও ইইউ’র অভিযোগ গুগল তার প্রভাবশালী অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে প্রতিদ্বন্দ্বীদের সরিয়ে ফেলছে।

মার্কিন এই প্রযুক্তি জায়ান্ট তোপের মুখে পড়ে যখন ইউরোপিয়ান কমিশন জানায়, অন্যান্য গুগল অ্যাপে ঢুকতে মোবাইল ফোন উৎপাদনকারীরা আগে থেকেই গুগল সার্চ আর গুগল ক্রোম ব্রাউজার ইনস্টল করে রাখতে হবে, গুগলের এই আবশ্যিক শর্তটি ভোক্তা আর প্রতিদ্বন্দ্বীদের ক্ষতি করতে পারে।

ইইউ কম্পিটিশন কমিশনার মার্গারেথ ভেসট্যাগার জানিয়েছেন, এর প্রতিদ্বন্দ্বীদের সীমাবদ্ধ করে দেওয়ার কোনো অধিকার গুগলের নেই।

তিনি বলেছেন, “গুগল অনেক রকম উদ্ভাবনী পণ্য নিয়ে আসে, যা আমদের জীবনে ভিন্নতা আনে। কিন্তু তা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিযোগিতা এবং উদ্ভাবনের সুযোগ অগ্রাহ্য করার করার অধিকার গুগলকে দেয় না।”

ইতোমধ্যেই গুগল ইইউ-এর এই অভিযোগগুলোর জন্য অ্যান্টিট্রাস্ট মামলার সম্মুখীন হয়েছে।

মঙ্গলবার গুগলের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, “আমদের বিশ্বাস যে আমাদের উদ্ভাবন এবং পণ্যের উন্নতি ইউরোপিয়ান ভোক্তাদের পছন্দ বাড়াবে এবং প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে।”

তিনি আরও বলেছেন, “আমরা কমিশনের পুনরারম্ভ করা মামলা পরীক্ষা করব এবং আগামী সপ্তাহের মধ্যে একটি বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া জানাবো।”

এদিকে ইইউ অ্যান্টিট্রাস্ট নিয়ন্ত্রকরা জানান, গুগলের বিরুদ্ধে প্রভাবশালী অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে প্রতিদ্বন্দ্বী সরিয়ে ফেলার অভিযোগের জবাব দেওয়ার জন্য প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যালফাবেটের গুগলকে সেপটেম্বরের শুরু পর্যন্ত বাড়তি ছয় সপ্তাহ দেওয়া হয়েছে।

ইইউ পর্যবেক্ষক সংস্থা অভিযোগের জবাব দেওয়ার জন্য গুগলকে শুরুতে ২৭ জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়েছিল।

“কমিশন গুগলের অ্যান্ড্রয়েড আর তার প্রয়োগ সম্পর্কিত আপত্তিগুলোর উত্তর দেওয়ার সময় ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়াতে রাজি হয়েছে। গুগল মামলার নথিপত্র পর্যালোচনার জন্য বাড়তি সময় চেয়েছিল,” কমিশনের মুখপাত্র রিকার্ডো কারডোসো এক ইমেইলের মাধ্যমে এমনটা বলেন।

গুগলকে প্রত্যেকটি অ্যান্টিট্রাস্ট মামলার জন্য ৭৪০ কোটি মার্কিন ডলার বা তাদের বিশ্বব্যাপী ব্যবসায় খাটানো অর্থের ১০ শতাংশ জরিমানা দিতে হতে পারে। এ বিষয়ে গুগলের তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।