অ্যাপলের পুরানো কয়েকজন কর্মী মিলে প্রতিষ্ঠা করেছেন পার্ল অটোমেশন ইনকোর্পরেটেড নামের প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের প্রথম পণ্য- একটি রিয়ার ভিউ ক্যামেরা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে এই পণ্য পাওয়া যাবে। এরপর তারা এমন কিছু পণ্য বানাবেন যা গাড়ির ক্ষমতা আরও বাড়াবে।
"যে সময় একটি স্বয়ংক্রিয় গাড়ি চালু হবে তখন বাজারে কোটি কোটি গাড়ি থাকবে যেগুলো স্বয়ংক্রিয় হবে না” —পার্লের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রাইসন গার্ডনার এক সাক্ষাৎকারে এমনটা বলেন। “কোনো নতুন প্রযুক্তি সৃষ্টি করলে তা গাড়িতে বসানোর জন্য তিন থেকে ১০ বছর সময় লেগে যায়। আর যখন তা গাড়ির ভেতরে প্রবেশ করানো সম্ভব হয় তখন এটি খুব কম সংখ্যক গাড়ীতে দেখতে পাওয়া যায় আর এর ১০ থেকে ২০ বছর লেগে যায় নিজেকে দাঁড় করতে আর লাক্সারি থেকে নামিয়ে আনতে এতসব গাড়ির মধ্যে", বলেন তিনি।
অ্যাপলের সঙ্গে তিন বছর কাজ করে, গার্ডনার আইপডে ১৩টি আর আইফোন নির্মাণে ৩টি কর্মসূচির নেতৃত্ব দিয়েছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার কুপার্টিনো ছাড়ার এক বছর পর ২০১৪ সালে, তিনি পাশের স্কটস ভ্যালিতে দুই সাবেক সহকর্মীর সঙ্গে দলবদ্ধ হয়ে পার্ল প্রতিষ্ঠা করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বার্ষিক যে ১৭০ লাখ নতুন গাড়ি বিক্রি হচ্ছে তার একটি অংশ অ্যাপলের 'সম্ভাব্য' গাড়ি জিতে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। পার্ল বাকি ২৪৩০ লাখ রাস্তায় চলা গাড়ির মালিককে তাদের পণ্য কিনতে প্ররোচিত করতে চায়।
পার্লের ব্যাকআপ ক্যামেরার সফল্যের উপর তাদের সব প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি নির্মাণের সম্ভাবনা নির্ভর করছে। ৫০০ মার্কিন ডলারের সোলার-পাওয়ার্ড সিস্টেমটি বাহনের রেজিস্ট্রেশন প্লেটের ভেতরে বসানো থাকবে আর ওয়াইফাই ব্যবহার করে এটা চালকের স্মার্টফোনকে রিয়ার-ভিউ হিসেবে দেখাবে।
গার্ডনার, যার ৭০ জন সদস্যের শক্তিশালী এই প্রতিষ্ঠানটির ৫০ জন সদস্যই অ্যাপলের সাবেক কর্মী, তিনি বলেন, “যে মূল প্রযুক্তিগুলো মূল্যবান হতে যাচ্ছে সেগুলোই পরবর্তীতে স্বয়ংক্রিয় গাড়ি নির্মাণে সাহায্য করবে।“ “প্রত্যেকটি পণ্যের মূল বিষয়টি আমরা যা লক্ষ্য করি তা হল, সেগুলোকে সময়ের পরিবর্তনে শিখতে হবে।।"