চীন-যুক্তরাষ্ট্র সাইবার আলোচনায় 'উন্নতি'

চীনের সঙ্গে সাইবার হুমকি নিয়ে তথ্য আদান প্রদানের ব্যপারে উন্নতি দেখে সন্তুষ্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবারে হয়ে যাওয়া দুই দেশের মধ্যে সাইবার নিরাপত্তা আলোচনার সর্বশেষ দফায় একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন সরকারি কর্মকর্তা এমনটা জানান।

জাকিয়া শবনম বৃষ্টিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 June 2016, 12:19 PM
Updated : 14 June 2016, 12:19 PM

বিশ্বের এই দুই সবচেয়ে বড় অর্থনীতির মধ্যে সাইবার নিরাপত্তা সব সময়ই যন্ত্রনাদায়ক রূপে দেখা গিয়েছে। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে চীনের রাষ্ট্রপতি ওয়াশিংটন সফরে এলে চীন আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি অ্যান্টি হ্যাকিং চুক্তিসহ একটি অঙ্গীকার স্বাক্ষরিত হয়। অঙ্গীকার অনুযায়ী বাণিজ্যিক সুবিধার জন্য এই দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে হ্যাকিং কার্যক্রম পরিচালনা করবে না বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

এ চুক্তিকে দুই দেশের সম্পর্ক পুনঃস্থাপন রূপে দেখা হচ্ছে। চীনের সামরিক বাহিনীতে পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে ছয়টি মার্কিন প্রতিষ্ঠান হ্যাক করার অভিযোগ তোলার পর, তার জবাবে ২০১৪ সালে চীন শ্রমিকের একটি দল উঠিয়ে নেয়। মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি-এর সহকারী সচিব সুজেইন স্পোলডিং বেইজিংয়ের একটি সাক্ষাৎকারে জানান, দুই পক্ষ তাদের প্রেসিডেন্টের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রেখেছে কিনা তা নিশ্চিত করা ছিল আলোচনাটির উদ্দেশ্য।

সুজেইন সাংবাদিকদের বলেন, “গোপন বাণিজ্যিক তথ্য চুরির কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতি নিয়ে আলোচনায় বসব। চুক্তিটির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তথ্য আদান-প্রদান আর কাজের প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা।" তিনি জানান, তথ্য আদান-প্রদানের সুবিধার্থে দুই পক্ষ ইমেইল ঠিকানা ঠিক করছে।

চীনের জননিরাপত্তা মন্ত্রী গুয়ো শেংকুন জানান, চীন এই আলোচনাগুলোকে খুবই মূল্য দেয়। তিনি বলেন, "আমরা আলোচনাগুলোকে কাগজের নীতি থেকে সত্যিকার অর্থে বাস্তবায়ন করতে চাই। দুই পক্ষই সাইবার বিষয়গুলোতে একে অপরকে সহযোগিতা করা চালিয়ে যাবে। আমি মনে করি, দুই পক্ষের নেতৃত্ব এই বিষয়ে গুরুত্ব আর অংশগ্রহণের মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়।"

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতে, তাদের সবচেয়ে কার্যকরী হ্যাকিং প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে- চীন, রাশিয়া আর ইরান। ২০১৫ সালে মার্কিন কর্মকর্তারা গোপনে বেইজিংকে মার্কিন কর্মকর্তাদের তথ্য হ্যাক করার দায়ে অভিযুক্ত করে, এক্ষেত্রে ২,২০,০০,০০০-এরও বেশি বর্তমান আর সাবেক সরকারি কর্মকর্তাদের সংবেদনশীল ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়।