আপিল আদালতে মামলার রায় অ্যাপলের পক্ষে যায়। আপিল আদালতের এই রায় নিয়ে স্যামসাং সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে। এরই প্রেক্ষিতে মামলাটি এখন আবার বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে অ্যাপলের একজন মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করেননি। তবে, স্যামসাং রয়টার্স-কে জানায়, মার্কিন সরকারসহ বিভিন্ন দল থেকে অ্যাপল-এর পক্ষে আপিল আদালতের রায় উল্টে দেওয়ার জন্য অপ্রতিরোধ্য সমর্থন ছিল। এ ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, "যদি আপিল আদালতের রায় অসংশোধিত থেকে যায়, তবে তা উদ্ভাবন বন্ধ করে দেওয়ার দিকে নিয়ে যেতে পারে, নকশা নিয়ে করা পেটেন্ট মামলার পথ মুছে দিতে পারে আর অর্থনীতি এবং ভোক্তাদের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।"
২০১১ সালে অ্যাপল আদালতে স্যামসাং-এর বিরুদ্ধে আইফোন-এর পেটেন্ট, ‘ডিজাইন’, ট্রেডমার্ক লঙ্ঘন করার অভিযোগ করার পর থেকে বিশ্বের শীর্ষ এই দুই স্মার্টফোন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে মামলা চলে আসছে। এক পর্যায়ে ২০১২ সালে আদালতের এক রায়ে অ্যাপলকে ৫৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার জরিমানা দিতে স্যামসাংকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর প্রচেষ্টার ফল আংশিকভাবে পুরষ্কৃত হয় ২০১৫ সালের মে মাসে। যুক্তরাষ্ট্র আপিল আদালত ‘ফেডারাল সার্কিট’-এর জন্য ‘ট্রেডমার্ক’ সংরক্ষণ দায়ের বিপরীতে স্যামসাংয়ের জরিমানার পরিমাণ ৩৪ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার নামিয়ে দেয়।
অবশ্য আপিল আদালত স্যামসাংয়ের বিরুদ্ধে অ্যাপলের পেটেন্ট ভঙ্গ করার অভিযোগ বহাল রাখে। স্যামসাং সুপ্রিম কোর্ট-কে নকশার পেটেন্ট অংশ পুনরায় পর্যালোচনা করার রায় দেয়।
চলতি বছর মার্চে বিচার বিভাগ সম্মতি জানায়, পেটেন্ট লঙ্ঘনের জন্য পুরো মুনাফা পুরষ্কার হিসেবে দেওয়া যাবে যদি পেটেন্ট শুধু পণ্যের একটি উপাদানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়।
বিচার বিভাগ জানায়, এখানে নতুন বিচারের বিষয় আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্ট-এর উচিৎ মামলাটি বিচারিক আদালতে পাঠানো।