স্মার্টফোন বাজারের ভবিষ্যৎনামা

বিশ্ববাজারে স্মার্টফোনের রমরমা ব্যবসায় লক্ষণীয়ভাবে কমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। যদিও ছুটিবহুল একটি প্রান্তিকে রেকর্ড পরিমাণ বিক্রির মাধ্যমে প্রস্তুতকারকদের স্মার্টফোন চালানের বৃদ্ধির পরিমাণটা দুই অঙ্কের ছিল। 

শাহরিয়ার হাসান পরশবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2016, 09:35 AM
Updated : 23 May 2016, 12:01 PM

স্মার্টফোন ব্যবসায়ের পরিপক্ব বাজারগুলোই ছিল চলতি বছর স্মার্টফোন বিক্রি কমে যাওয়ার মূল কেন্দ্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের দেশগুলো এবং চীনের মুখ্য বাজারগুলোয় স্মার্টফোন গ্রহণের মাত্রাটা নতুন উচ্চতায় চলে যায়। এই দেশগুলোতে প্রথমবারের মতো ফোন কিনতে আসা ক্রেতার পরিমাণ দ্রুতই ফুরিয়ে যাচ্ছে। এসব বাজারের বেশিরভাগ ক্রেতাই ছিলেন পুরাতন ফোন ছেড়ে নতুন ফোন কিনতে আসা ব্যবহারকারী।

জনপ্রিয় বাজারগুলো ঝিমিয়ে গেলেও শক্তিশালী হয়ে উঠবে উদীয়মান বাজারগুলো। বিশেষ করে ভারত এবং ইন্দোনেশিয়াকে ভবিষ্যৎ বাজারের জ্বালানি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক সাইট বিজনেস ইনসাইডার-এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয় ২০২১ সাল পর্যন্ত স্মার্টফোন বাজারের একটি স্থূল এবং স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। প্রতিবেদনটিতে উঠে আসা সার কথা-

*স্মার্টফোনের প্রবৃদ্ধি বিশ্ববাজারে এখনো ক্রমবর্ধমান কারণ উঠতি বাজারগুলোতে স্মার্টফোনের চাহিদা প্রচুর। ২০২১ সালের মধ্যে স্মার্টফোনের বিক্রির পরিমাণ ২১০ কোটিতে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হয়েছে।

*শেষ কয়েকবছরে স্মার্টফোনের চাহিদা উপরের দিকে উঠছিল ছিল কারণ স্মার্টফোনগুলোর ক্রমাগত দাম কমে যাওয়া। দাম কমায় উঠতি বাজারগুলোতে হ্যান্ডসেটের ক্রয়ক্ষমতা মানুষের হাতের নাগালে চলে এসেছে। ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ভারতে স্মার্টফোনের দাম কমে প্রায় অর্ধেকে এসে ঠেকেছে।

*স্মার্টফোনের দামের ক্রমনিম্নগামীতার কারণে ধারণা করা হচ্ছে, সামনের পাঁচ বছরে ভারতে স্মার্টফোন ব্যবসার পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। স্মার্টফোন বাজারে চীনকে টেক্কা দিতে ভারতের সামনে এখনও বিশাল পথ বাকি। ২০১৬ সালে বিশ্ব স্মার্টফোন বাজারে ভারতীয় বাজারের পরিমাণ ১০ শতাংশ যেখানে চীনের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ ৩০ শতাংশ।

*স্মার্টফোনের প্ল্যাটফর্ম নিয়ে তর্কের দিনও প্রায় শেষ। ২০১৫ সালে এসে আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড দখল করে নিয়েছে ৯৭ দশমিক ৩ শতাংশ ডিভাইস, যা ২০১৪ সালে ছিল ৯৬ দশমিক ৩ শতাংশ। 

*২০১৫ সালের শেষে অ্যাপল আইফোন ৬ এবং ৬প্লাসের মতো পণ্য দিয়ে বাজার মাতিয়েছে। কিন্তু স্যামসাং এবং অন্যান্য চীনা প্রতিযোগী যেমন হুয়াওয়ে-এর তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অ্যাপলের আয়ের রেখা কিছুটা নিচের দিকেই চলছে।