থ্রিডি প্রিন্টারে এইচপির বাজিমাত

প্রিন্টিং অভিজ্ঞতাকে আরেকটু সামনে এগিয়ে উচ্চ প্রযুক্তির দুটি থ্রিডি প্রিন্টার উন্মোচন করেছে মার্কিন ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এইচপি। নতুন এই প্রিন্টার দুটি বাজারের অন্যান্য প্রিন্টার থেকে দশ গুণ দ্রুত এবং দামে সস্তা বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

রিয়াদ মোর্শেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 May 2016, 12:55 PM
Updated : 20 May 2016, 12:55 PM

প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই প্রিন্টারে “মাল্টি জেড ফিউশন” প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা পণ্যটিকে এমনভাবে উন্নত করেছে যে এটি “উৎকৃষ্ট গুণমান”-এর একটি নমুনা হতে পারে।

এইচপির এই উদ্ভাবন বাজার পাল্টে দেওয়ার মতো বলে মন্তব্য করেছেন এক বিশেষজ্ঞ। তবে, এই মূহুর্তে প্রিন্টারটিতে কেবল একটি রং দিয়েই প্রিন্ট করা সম্ভব, যা এই পণ্যটির একটি সীমাবদ্ধতা মনে করা হচ্ছে, জানিয়েছে বিবিসি।

নতুন এই প্রিন্টার দুটি দিয়ে ইতোমধ্যেই অপর দুই মার্কিন শীর্ষস্থানীয় থ্রিডি প্রিন্টার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্ট্রেটেসিস এবং থ্রিডি সিস্টেমসকে টেক্কা দেওয়ার প্রয়াস করছে এইচপি।

বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যানালিসের একজন গবেষক জো কেম্পটন বলেন, “এইচপির তৈরি এই প্রিন্টার আসলেই কম মূল্যে এবং দ্রুত উচ্চ রেজুলিউশানের অংশ তৈরি করতে পারবে, যা প্রতিদ্বন্দীদের পিছু হটাবে।"

তিনি আরও বলেন, “এই প্রযুক্তি আগামীর জন্য একটি বড় পদক্ষেপ এবং এটি প্রযুক্তির মোড় ঘুরিয়ে দেবে। বর্তমানে যেসব প্রতিদ্বন্দ্বীরা আছে তাদের মূল কাজের মধ্যে অন্যতম হল অনেকগুলো রং ব্যবহার করতে পারা, ভবিষ্যতে এইচপির প্রিন্টারটি নিমিষেই সেই অভাবটি পূরণ করবে।”

প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে অন্যান্য প্রিন্টার প্রতিষ্ঠানের মত লেজার প্রযুক্তি ব্যবহার করেনি এইচপি। এর পরিবর্তে, থার্মাল ইঙ্কজেটের উপর পাউডারের একটি স্তর ব্যবহার হয়েছে। এর মাধ্যমে যেই রাসায়নিক উপাদানটি তৈরি হয় সেটি অংশগুলোকে গলিয়ে জোড়া লাগিয়ে থাকে।

এইচপির এই মডেলটির নাম দেওয়া হয়েছে জেট ফিউশন থ্রিডি ৩২০০ এবং এর আকার একটি ওয়াশিং মেশিনের সমান।

আগামী বছরেই প্রিন্টারটি বাজারে আনবে এইচপি। এক্ষেত্রে প্রিন্টারটির মূল্য ধরা হবে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার।