বিবিসি জানিয়েছে, নতুন এই গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট সফটওয়্যার ব্যবহারকারীর সঙ্গে কথোপকথনের মাধ্যমে তথ্য অনুসন্ধান, মিডিয়া প্লেয়ার নিয়ন্ত্রণ করা এমনকি মুভি টিকেট বুকিং করতে পারবে। আর এই গুগল অ্যাসিটেন্টের মাধ্যমেই সিরি, কর্টানা এবং অ্যালেক্সার মত জনপ্রিয় ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট সার্ভিসগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট সফটওয়্যারের পাশাপাশি প্রযুক্তিকে ঘরের মধ্যে নিয়ে আসার লক্ষ্যে গুগল হোম নামে ভয়েস-অ্যাক্টিভেটেড ডিভাইসও এনেছে গুগল। স্পিকার সম্বলিত এই ডিভাইসটি ঘরের মধ্যে মানুষের নিজের সহায়তাকারী হিসেবে কাজ করবে।
কার্যকারীতায় গুগল-হোম অনেকটাই মার্কিন ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের তৈরি ইকো ডিভাইসের মত। ২০১৪ সালে প্রথমবারের মত ইকো ডিভাইস উন্মোচন করে অ্যামাজন। গুগল হোম ডিভাইসটি দিয়ে টেক্কা দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও আগে থেকে পথ দেখানোর জন্য অ্যামাজনকে ধন্যবাদ জানাতে ভূল করেননি পিচাই।
গুগুলের নতুন ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট সেবা নিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। জ্যাকড রিসার্চের এক কর্মকর্তা জ্যান ডসান বলেন, “গুগলের সকল সার্ভিস একটি নামের আওতায় এনে গুগল যে ডিভাইসটি তৈরি করেছে, সেটি জোরালোভাবে শুধু অ্যামাজনের ইকো-ই নয় সিরি, কর্টানার মত জনপ্রিয় ব্যক্তিগত অ্যাসিস্ট্যান্টগুলোর সঙ্গেও প্রতিযোগিতা করবে।”
গুগলের তৈরি নতুন এই অ্যাসিস্ট্যান্টে চাইলেই টিকেটমাস্টার, স্পটিফাই, উবার এবং হোয়াটসঅ্যাপের মত তৃতীয় পক্ষের অ্যাপগুলোর সঙ্গে লিঙ্ক করা যাবে বলেও জানানো হয়। তবে, এক্ষেত্রে অ্যালেক্সা ইতোমধ্যেই আরো বেশি তৃতীয় পক্ষের অ্যাপের সঙ্গে কাজ করে গুগলের তুলনায় খানিকটা এগিয়েই রয়েছে।
গুগল আর অ্যামাজনের নতুন এই দ্বৈরথ নিয়ে অনেক মন্তব্যও করেছেন বিশেষজ্ঞরা। “গুগল হোম থেকে গুগল সার্চ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষমতার মত বিষয়গুলো অ্যামাজনের শেখা উচিত। কিন্তু তৃতীয় পক্ষের অ্যাপের বিচারে অ্যালেক্সা কিছুটা এগিয়েই রয়েছে।”, বলেন সিসিএস ইনসাইটের জিওফ ব্লেবার।
গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট ছাড়াও ওই কনফারেন্সে ‘অ্যাল্লো’ নামক চ্যাট অ্যাপ এবং ভিডিও চ্যাট অ্যাপ ‘ডুয়ো’ উন্মোচন করেছে গুগল।