বিবিসি জানায়, নোকিয়ার ফিচার ফোন নির্মাতা বিভাগটিকে ইকুইটি নির্ভর প্রতিষ্ঠান এইচএমডি গ্লোবাল এবং ফক্সকন-এর সম্পূরক প্রতিষ্ঠান এফআইএইচ মোবাইল ৩৫ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ১০ বছরের এক চুক্তির মাধ্যমে নিজেদের অধিকারে নিয়ে নিয়েছে।
এ ছাড়াও হানয়-এ একটি ফিচার ফোন ফ্যাক্টরির স্বত্বাধিকার পেয়েছে তাইওয়ানিজ প্রতিষ্ঠান ফক্সকন। এই চুক্তির অংশ হিসেবে এ বছরের মধ্যেই প্রায় সাড়ে চার হাজার কর্মী প্রতিষ্ঠান বদল করবেন বলে জানানো হয়।
অন্য আরেক চুক্তিতে নতুন কিছু স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটের জন্য নোকিয়ার নাম ব্যবহারের অধিকারও কিনে নিয়েছে এইচএমডি।
আইএইচএস প্রযুক্তি গবেষণা দলের ইয়ান ফগ বলেন, "ফিচার ফোন কখনোই নোকিয়ার ডিভাইস ব্যবসা কিনে নেওয়ার পেছনে মাইক্রোসফটের মূল ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যের কোনো অংশই ছিলো না। মাইক্রোসফটের গত বছরের পুনঃসন্নিবেশনের পর এটা স্পষ্ট হয় যে ফিচার ফোন ব্যবসা শুধুই বাড়তি অংশ এবং মাইক্রোসফট এ ব্যবসা ছেড়ে দিতে প্রথম ভালো সুযোগটিই লুফে নিয়েছে।"
ফিচার ফোন ব্যবসা ধ্বসের মুখে থাকার পরও কিছু কিছু বাজারে নোকিয়া ফিচার ফোনের ব্যবসা এখনও লাভজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এইচএমডি সম্ভবত এসব বাজারেই মনোযোগ দেবে।
এইচএমডি-এর প্রধান নির্বাহী আর্টো নামেলা বলেন, "মোবাইল ফোন বিক্রিতে পার্থক্য গড়ে দিতে ব্রান্ডিং-এর বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ কারণেই নোকিয়া ব্র্যান্ডের বিশেষত্ব এবং বিক্রি ও বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে আমাদের অসাধারণ অভিজ্ঞতাকে ঘিরেই আমাদের ব্যবসায়িক কাঠামো দাঁড় করানো হয়েছে।"
আর মি. ফগ বলেন, "এই চুক্তির ফলে নোকিয়া ব্র্যান্ডের ফিচার ফোন আসন্ন নোকিয়া স্মার্টফোনের সঙ্গে একীভূত হবে। এতে যেসব দেশে নোকিয়া ফিচার ফোনগুলো এখনও পর্যন্ত ব্যবহারে আছে, সেসব দেশে ভোক্তাদের ফিচার ফোন থেকে স্মার্টফোন ব্যবহারে উন্নীত করা এইচএমডির জন্য তুলনামূলক সহজ হবে।"