পানির ফোঁটা আকৃতির এ পডটি চুম্বকের সাহায্যে অ্যালুমিনিয়াম ট্র্যাকের ওপর ভেসে থাকে, যার ফলে ঘর্ষণ অনেক কম হয়।
দলটি জানায়, এই পডটি 'যাতায়াতের ধারণাই পালটে দিতে নতুন এক মাধ্যম' সৃষ্টির রাস্তা গড়ে দিয়েছে।
একে এখনও পর্যন্ত মানুষ পরিবহনের মতো বড় আকৃতি দেওয়া হয়নি। তবে দলটি জানায়, সব রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হওয়ার পরপরই একে মানুষ পরিবহনের জন্য পূর্ণ আকারে বানানো হবে।
এতে নানা প্রতিবন্ধকতার শিকারও হতে হয়েছে তাদের। বিশেষ করে সামান্যতম বাঁক নেওয়ার ক্ষেত্রে এখনও 'বড় ধরনের সমস্যা' রয়ে গেছে বলে জানান তারা। দলটির প্রধান প্রকৌশলী ক্রিস্টোফার মেরিয়ান জানান, লেভিটেশন সিস্টেম নিয়ে তার দল আত্মবিশ্বাসী হলেও ব্রেকের ক্ষেত্রে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।
সমালোচকদের কেউ কেউ অবশ্য হাইপারলুপের ধারণাটিকে অতিরিক্ত ব্যয়বহুল এবং যাত্রীদের জন্য অস্বস্তিকর হওয়ার অজুহাত দিচ্ছেন।
যাতায়াত ব্যবস্থার এই ধারণাটি টেসলার প্রধান ইলন মাস্ক-এর মস্তিষ্কপ্রসূত। মাস্কের ২০১৩ সালে প্রকাশিত এক হোয়াইট পেপারে স্যান ফ্রানসিসকো থেকে লস অ্যাঞ্জেলস পর্যন্ত হাইপারলুপ টিউব সংযোগের প্রস্তাব রাখেন। তিনি ধারণা করেন, হাইপারলুপের মাধ্যমে প্রতি ঘন্টায় ১,১২৭ কি.মি. বেগে আধা ঘন্টায়ই এই দূরত্ব অতিক্রম করা যাবে, যেখানে এখন সড়কপথে ছয় ঘন্টা এবং আকাশপথে প্রায় এক ঘন্টা সময় লাগে।
অন্যদিকে হাইপারলুপ ওয়ান নামের আরেকটি দল একই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। এরই মধ্যে নেভাডার মরুভূমিতে এর প্রোপালশন ব্যবস্থার ওপর পরীক্ষাও চালিয়েছে দলটি।