বৃহস্পতিবার এক রিপোর্টে গ্রুপ-আইবি জানায়, বাহট্র্যাভপ নামের সদ্য আবিষ্কৃত হ্যাকারদলটির সদস্যরা এ কাজে একটি ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রবেশ করে। তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং গ্যাজপ্রমব্যাংক জেএসসি-এর ছদ্মবেশে ইমেইলের সাহায্যে ম্যালওয়্যারটি ছড়িয়ে দেয় এবং এরপর প্রোগ্রামটি স্বয়ংক্রিয় ব্যাংক-ভোক্তা সিস্টেমে আক্রমণ চালায়। এ সিস্টেমটি সরাসরি নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ নিউজ।
গ্রুপ আইবি-এর সাইবার ইন্টেলিজেন্স বিভাগের প্রধান দিমিত্রি ভলকভ বলেন, “রাশিয়ান ব্যাংকগুলোর জন্য এই সিস্টেম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, তা হলো হ্যাকারদের সিটিব্যাংক-এর সুইফট সিস্টেমে প্রবেশাধিকার পেয়ে যাওয়ার মতোই।”
স্মরণকালের মধ্যে হ্যাকারদের সবচেয়ে বড় আক্রমণের ঘটনায় তারা ৬০ কোটি রুবল হাতিয়ে নেয় বলে জানিয়েছে গ্রুপ-আইবি। তবে আক্রমণের শিকার প্রতিষ্ঠানটির নাম প্রকাশ করা হয়নি। এ ছাড়াও দুটি ক্ষুদ্র আঞ্চলিক ব্যাংক সাইবার আক্রমণের কারণে তাদের মূল পুঁজির আড়াইগুণ বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। অন্য একটি ঘটনায় শতকোটি রুবল চুরির একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয় বলে জানা যায়।
রুশভাষী হ্যাকারেরা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর জটিল সাইবার আক্রমণের জন্য পরিচিত। রাশিয়ান অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কি ল্যাব জানায়, রুশ, চীনা এবং ইউরোপীয় হ্যাকারদের দল কার্বানাক এটিএম অপারেটিং সিস্টেমের জন্য একটি ম্যালওয়্যার তৈরি করেছে। এই ম্যালওয়্যার নির্দিষ্ট একটি সময়ে এটিএম মেশিনগুলোকে হ্যাকারদের সহযোগীদের হাতে টাকা তুলে দিতে বাধ্য করে। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে হ্যাকারেরা মেটালিনভেস্টমেন্ট ব্যাংক থেকে ৬৭ কোটি ৭০ লাখ রুবল চুরি করে বলে আরআইএ নভস্কির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।