কিন্তু কেন এই পদক্ষেপ? উত্তরটা এখনও সবার অজানা, আর এর পেছনের কারণ এখনও গুগল উন্মোচন করেনি বলেই জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
গুগলের সর্বশেষ এই প্রকল্পটি লক্ষ্য করেছে সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের হ্যাকিংবিষয়ক ব্লগ সাইট হ্যাকাডে। গুগল একটি পরীক্ষামূলক রেডিও অনুমতিপত্রের জন্য আবেদন করছে, ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন (এফসিসি)-এর ২৩ ফেব্রুয়ারির একটি নথি থেকে এমনটাই জানতে পারে সাইটটি।
মেক্সিকো সীমান্ত থেকে প্রায় ৩৫ মাইল ভেতরে অদ্ভুত নামের ছোট এক মার্কিন শহর- ট্রুথ অর কনসিকোয়েন্সেস। বাংলায় ‘সত্য বা পরিণতি’। এর কাছাকাছি, মরুভূমিতে ওই প্রকল্প হাতে নিয়েছে গুগল।
রহস্যময় এই প্রকল্প নিয়ে ওই নথিতে খুব বেশি কিছু প্রকাশ করা হয়নি। গুগল তাদের ব্যবসায়িক কৌশল সুরক্ষিত রাখতে এই প্রকল্পের তথ্য মানুষের কাছ থেকে গোপন রাখতে অনুরোধ করেছে, এ কারণেই প্রকল্পটি নিয়ে কিছু জানানো হচ্ছে না বলে জানিয়েছে ইন্ডিপেনডেন্ট।
পরিকল্পিত ট্রান্সমিটারগুলো ‘অতিমাত্রায় দিকনির্দেশনাপূর্ণ’ এবং শক্তিশালী সম্প্রচারের জন্য ব্যবহৃত হবে, যার কম্পাঙ্কের পরিসর সাধারণ যোগাযোগ-যন্ত্র বা প্রচলিত রাউটারে ব্যবহৃত কম্পাঙ্কের চেয়ে বেশি হবে।
প্রযুক্তিবিষয়ক ম্যাগাজিন ‘পপুলার মেকানিক্স’ জানিয়েছে, ট্রান্সমিটারগুলোর একটি ৭০ থেকে ৮০ গিগাহার্টজ ক্ষমতার, যা সাধারণত উচ্চ ব্যান্ডউইথের যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়।
এই ‘অত্যন্ত শক্তিশালী’ ট্রান্সমিটারগুলো সম্পর্কে গুগল কিছু না বললেও, এগুলো স্কাইবেন্ডার নামে ড্রোন ব্যবহার করে ভূমিতে ৫জি ইন্টারনেট তরঙ্গ পাঠানো সংক্রান্ত প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত যুক্ত বলে গুঞ্জন উঠেছে। ওই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্রজেক্ট লুন’।
‘প্রজেক্ট লুন’ প্রকল্পে অনেক উচ্চতা থেকে বেলুনের সাহায্যে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে পরীক্ষা চালাচ্ছে গুগল।
অন্যদিকে, এটি সম্পূর্ণ নতুন একটি প্রকল্পও হতে পারে। যতক্ষণ না গুগল নিজে থেকে কিছু প্রকাশ করছে্ গোপনে ওই স্পেইসপোর্টে যাওয়া ছাড়া এ সম্পর্কে আর কিছু জানার উপায় নেই।