শীর্ষদশের মধ্যে বিশ্বে বৃহত্তম সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোর অন্যতম মাইক্রোসফটের নাম নেই। এই তালিকার মাধ্যমে গ্রাহকের পছন্দ সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়, এ কারণে তালিকাটি যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে মাইক্রোসফট। তবে এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি প্রতিষ্ঠানটি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, বিনামূল্যে উবার পপুলার অফিস ৩৬০-এর মতো অনেকগুলো মোবাইল-বান্ধব অ্যাপ তৈরি করে মাইক্রোসফট প্রশংসনীয় কাজ করেছে। উইন্ডোজ ১০-এর মাধ্যমে কম্পিউটারের জন্য বানানো অ্যাপগুলোও মাইক্রোসফটের স্মার্টফোনে ব্যবহার করার সুবিধা রয়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও যথেষ্ট পরিমাণ অ্যাপ না থাকায় মাইক্রোসফটে গ্রাহকের চাহিদা কম।
শীর্ষ তালিকাতে মাইক্রোসফটের অনুপস্থিতি বিস্ময়কর— অন্তত ফেইসবুকের সাফল্যের জন্য হলেও মাইক্রোসফটের উৎসাহিত হওয়া উচিত বলে মনে করছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি। এদিকে নিজস্ব মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম ছাড়াই অ্যাপবাজারে প্রভাব খাটাচ্ছে ফেইসবুক।
২০১৫ সালে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় ফেইসবুক অ্যাপ। শীর্ষস্থান ছাড়াও শীর্ষ দশের আরও দুটি অ্যাপ ফেইসবুকের মালিনাধীন। তৃতীয় অবস্থানে আছে ২০১৪ সালে সপ্তম স্থানে থাকা ফেইসবুক মেসেঞ্জার আর অষ্টম স্থানে রয়েছে ইনস্টাগ্রাম।পরপর দুই বছর ধরে শীর্ষ অবস্থানে আছে ফেইসবুক।
দ্বিতীয় স্থানে ইউটিউব, চতুর্থ গুগল সার্চ, পঞ্চম গুগল প্লে, ষষ্ঠ ও সপ্তম যথাক্রমে গুগল ম্যাপ ও জিমেইল। নবম ও দশমে আছে অ্যাপল মিউজিক ও অ্যাপল ম্যাপ। আন্ড্রয়েড ফোনে জিমেইল অ্যাপ ও আইফোনে অ্যাপল মিউজিক ডাউনলোড করার প্রয়োজন না থাকায় শীর্ষ তালিকাতে গুগল ও অ্যাপলের উপস্থিতির কারণ যুক্তিযুক্ত।