ওএস এক্স অপারেটিং সিস্টেমের ইউটিলিটি সফটওয়্যার ম্যাককিপার ব্যবহারকারীদের নাম, ঠিকানা ও লগ ইন তথ্য অনলাইনে ফাঁস হয়েছে বলে জানিয়েছে এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ক্রোমটেক। তবে এর ফলে গ্রাহকদের লেনদেন সংক্রান্ত কোনো তথ্য ‘ঝুঁকিতে নেই’ বলে দাবি করেছে জার্মানির ওই প্রতিষ্ঠান।
Published : 16 Dec 2015, 06:29 PM
তবে গ্রাহকদের ডেটা বেহাত হয়ে হ্যাকার বা সাইবার অপরাধীদের হাতে পরেনি বলে দাবি করছে ক্রোমকাস্ট। বরং যে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ব্যবহারকারীদের ওই ডেটা খুঁজে পেয়েছেন শুধু তিনিই সব ডেটা দেখেছেন--প্রতিষ্ঠানটি এমনটাই দাবি করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, “গ্রাহকদের প্রাইভেসি আর নিরাপত্তাকে আমরা সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেই। আর এই সমস্যা শনাক্ত করতে আর সমাধানে আমরা সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।”
ফাঁস হওয়া ডেটা শনাক্ত করেছিলেন যে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ক্রিস ভিকেরি, তাকে উদ্দেশ্য করে প্রতিষ্ঠানটি বলে, “নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ক্রিস ভিকেরিকে আমরা বিশেষভাবে ‘ধন্যবাদ’ জানাই। তিনি ওই নিরাপত্তা দুর্বলতা সম্পর্কে আমাদের সতর্ক করে দেওয়ার ফলে কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আগেই আমরা এর সমাধান করতে পেরেছি।”
পাসওয়ার্ড-প্রোটেক্টেড নয় এমন সার্ভার খুঁজতে গিয়ে ম্যাককিপারের ২১ গিগাবাইট ডেটা আবিষ্কার করেন ভিকেরি। এই কাজে শোডান নামের একটি সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করেন তিনি।
প্রাথমিকভাবে ক্রোমটেক প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস হওয়ার কথা বলেছিল। পরে প্রতিষ্ঠানটির বিবৃতি থেকে সরিয়ে ফেলা হয় ভুক্তভোগী ব্যবহারকারীদের সংখ্যা। প্রতিষ্ঠানটির একজন মুখপাত্রের দাবি, ১ কোটি ৩০ লাখ ব্যবহারকারীর প্রাথমিক যে হিসাব দেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে ‘সক্রিয় ও নিষ্ক্রিয়’ উভয় ধরনের ব্যবহারকারীই ছিলেন।
ম্যাককিপার ম্যাকিনটশ কম্পিউটারকে সুরক্ষিত রাখে এবং গতি বাড়ায়--এমনটাই দাবি করা হয় এর বিজ্ঞাপনে। কিন্তু সাইবার বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন উল্টো কথা। গতি বাড়ানোর বদলে এটি কম্পিউটারের গতি আরও কমিয়ে দেয় এবং ক্ষেত্র বিশেষে ম্যাক কম্পিউটার ক্র্যাশও করে বলে অভিযোগ করেছেন বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ।