১০০ কোটি টাকা তুলতে বন্ড ছাড়বে আইপিডিসি ফাইন্যান্স

পুঁজিবাজারে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে তালিকাভুক্ত আইপিডিসি ফাইন্যান্স ১০০ কোটি টাকার সম্পূরক মূলধন সংগ্রহ করতে সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Nov 2017, 01:17 PM
Updated : 21 Nov 2017, 01:43 PM

বাজার থেকে তোলা এই অর্থ দিয়ে বিধিমোতাবেক মূলধনের বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা হবে বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে।

তবে বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেলেই এই বন্ড বাজারে ছাড়া যাবে।

এদিকে বন্ড ছাড়ার খবরের মধ্যে মঙ্গলবার ডিএসইতে আইপিডিসি ফাইন্যান্সের শেয়ারের দর আগের দিনের চেয়ে ২ টাকা ২০ পয়সা বা প্রায় সাড়ে চার শতাংশ বেড়ে দিন শেষে ৫১ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।

ছয় বছরমেয়াদী অরূপান্তরযোগ্য ও ঝুঁকিপূর্ণ কুপনের বন্ডের সুদের হার হবে ভাসমান। অর্থাৎ যারা বন্ডটি কিনবেন তারা নির্দিষ্ট কোনো হারে সুদ পাবেন না; সময় ও বিভিন্ন বিষয়ের উপর সেটা নির্ভর করবে, যেগুলো বন্ডের প্রসপেক্টাসে উল্লেখ থাকবে।

কোনো কারণে কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে গেলে ঋণদাতাদের মধ্যে সবার শেষে এই বন্ডধারীরা পাওনা বুঝে পাবেন। এই বন্ড শেয়ারে রূপান্তরিত করার কোনো সুযোগ থাকবে না।

গোপনীয় লেনদেনের (প্রাইভেট প্লেসমেন্ট) মাধ্যমে শুধুমাত্র বড়প্রতিষ্ঠানগুলো এই বন্ড কিনতে পারবে।

আইপিডিসি ফাইন্যান্সের মুনাফা ২০১২ সাল থেকে ক্রমাগতেই বাড়ছে। ১৩ কোটি টাকা থেকে দ্বিগুণের বেশি বেড়ে ২০১৬ সালে ৩০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

২০০৬ সালে তালিকাভুক্ত এ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি নিয়মিতই লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। সর্বশেষ ২০১৬ সালে ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি।

মঙ্গলবার আইপিডিসি ফাইন্যান্সের বাজার মূলধন ছিল ৮৯০ কোটি টাকা; অনুমদিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ১৮১ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

কোম্পানিটির মোট ১৮ কোটি ১৮ লাখ ৬৮০ শেয়ারের মধ্যে ৫১ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে; সরকারের হাতে আছে ২১ দশমিক ৮৮ শতাংশ; ১২ দশমিক ৭০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে; বিদেশিদের হাতে আছে ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ১২ দশমিক ৪৯ শতাংশ ।