অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির পেছনে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) জানানোর পরদিনই দরবৃদ্ধির চাপে কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই ইস্টার্ন কেবলসের দর সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ দর বেড়ে বিক্রেতা উধাও হয়ে যায়।
সারা দিনে ইস্টার্ন কেবলসের মাত্র দুই লাখ ৫৯ হাজার ৫৮৫টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
কোম্পানির শেয়ারটির দরবৃদ্ধির সাম্প্রতিক দৌড় শুরু হয় ১৪ নভেম্বর থেকে। এরপর মাত্র ছয় দিনে ৫৫ শতাংশের বেশি দর বৃদ্ধি পেয়ে ১৪০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে মঙ্গলবার ২১৮ টাকা ৯০ পয়সায় পৌঁছেছে।
তারপরও এই শেয়ার কিনতে বাড়তি এই চাপের কোনো দৃশ্যমান কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। ক্রয়ের চাপ এতই বেশি যে শেয়ারটির রিলেটিভ স্ট্রেংথ ইনডেক্স (আরএসআই) ৮৭ অতিক্রম করে গেছে। যেখানে আরএসআই ৭০ অতিক্রম করলেই সংশ্লিষ্ট শেয়ার ‘বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচিত হয়।
কোম্পানিটি ২০১৭ সালের জুনে সমাপ্ত হিসাব বছরের প্রতিটি ১০ টাকার শেয়ারের বিপরীতে মুনাফা করেছে একটাকা ১৯ পয়সা, যা আগের বছরের তুলনায় ১৩ শতাংশ কম।
ইস্টার্ন কেবলসের ২৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ও ১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে।