স্বল্প মূলধনী এসএমই কোম্পানিগুলোর দাম গত কয়েকদিন থেকেই বাড়ছে। শেয়ার সংখ্যা কম হওয়ায় এ প্ল্যাটফর্মের ১৩টি কোম্পানির মধ্যে বেশ কিছু শেয়ারের বিক্রেতা প্রায়ই থাকছে না। আরও দাম বাড়ার আশায় সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দামেও কেউ শেয়ার বিক্রি করতে চাইছেন না।
এতে গত কয়েকদিন থেকে এসএমই বোর্ডের সূচক বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে; যা মূল বাজারের ধারার একেবারে বিপরীত। কেননা প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে বাজেট ঘোষণার পর থেকেই বেশির ভাগ শেয়ারের দাম কমায় টানা পতন চলছে সূচকে।
সংসদে ৯ জুন বাজেট উপস্থাপনের পর থেকেই দুই বাজারের মধ্যে এমন বিপরীত চিত্র দেখা গেছে; যা বাজেট ঘোষণার পর আরও প্রকট হয়েছে।
বাজেট ঘোষণার পরে ২ দশমিক ৩৬ শতাংশ সূচক হারিয়েছে।
গত ৯ জুন ডিএসইএক্স সূচকের অবস্থান ছিল ৬ হাজার ৪৮০ পয়েন্ট। গত বৃহস্পতিবার তা নেমেছে ৬ হাজার ৩২৭ পয়েন্টে। এ সময়ে সূচক কমেছে ২ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
অপরদিকে এসএমই মার্কেটের সূচক ডিএসএমইএক্স এ সময়ে বেড়েছে প্রায় ৩৩ শতাংশ। ৯ জুন এ সুচকের অবস্থান ছিল ১ হাজার ৪২৬ পয়েন্ট। গত বৃহস্পতিবার সূচক বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৮৯৬ পয়েন্ট।
ডিএসই পরিচালক শাকিল রিজভী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফের ডটকমকে বলেন, এসএমই মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের সংখ্যা কম। আবার বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। সব মিলিয়ে এ সূচক বাড়ছে।
‘জল্পনা’র উপর ভিত্তি করে শেয়ার কেনার পাশাপাশি এখন এসএমই মার্কেট নিয়ে এক ধরনের ‘ঝোঁক’ও কাজ করছে বলে তিনি জানান।
২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩০ কোটি টাকার নিচের স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর ব্যবসা সম্প্রসারণে মূলধন উত্তোলনের সুযোগ দিতে এসএমই প্ল্যাটফর্ম চালু করে ডিএসই। সেজন্য আলাদা বিধি করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
পর্যায়ক্রমে মূল মার্কেটে থাকা স্বল্প মূলধনি অন্য কোম্পানিগুলোকেও এ বোর্ডে আনার পরিকল্পনা করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এসএমই প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রথম দিকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের লেনদেন করাটা কঠিন করে দেওয়া হয়েছিল। বেধে দেওয়া হয়েছিল ৫০ লাখ টাকার শর্ত। পরে ১৭ ফেব্রুয়ারি তা কমিয়ে ২০ লাখ টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
এরপর এ বাজারের লেনদেনে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে, লেনদেনেও উন্নতি হয়। তবে আরও দাম বাড়বে এমন আশায় বিক্রেতা কমে ক্রেতা বাড়লে শেয়ারগুলোর দামে উল্লম্ফন হয়।
আরও পড়ুন: