আগুনে আয় কমবে ৫০ কোটি ও মুনাফা ৮ কোটি, দাবি স্কয়ার ফার্মার

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্কয়ার ফার্মার কারখানায় লাগা আগুনে ৫০টি পণ্যের উত্পাদন ব্যাহত হবে; এতে বছরে ৫০ কোটি টাকার আয় এবং ৮ কোটি টাকার মুনাফা কমবে বলে দাবি করেছে কোম্পানিটি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2022, 01:59 PM
Updated : 25 May 2022, 01:59 PM

বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এসব তথ্য জানিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ কোম্পানিটি।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানার উত্পাদন ব্যবস্থা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে দুই থেকে তিন বছর সময় লেগে যাওয়ার কথাও জানিয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। কারখানায় আগুন লাগা ইউনিটের বীমা করা রয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।

আগুনে সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কারখানা, ফায়ার সার্ভসি ও বীমা কোম্পানির সার্ভেয়ারের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত ত্রিপক্ষীয় কমিটি কাজ করছে বলে ডিএসইর ঘোষণায় জানানো হয়েছে।

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার এ কারখানার লার্জ ভলিউম প্যারেন্টাল ইউনিটে ইউনিটে গত সোমবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে আগুন লাগে।

একতলায় আগুনের সূত্রপাত হলেও তা দ্রুত তিনতলা পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তাছাড়া কারখানায় থাকা রাসায়নিক দ্রব্যের কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের।

কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের গুদাম পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, ১৯টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। প্রায় সাত ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত ড্যাম্পিং ও সার্চের কাজ চলমান থাকে। শেষ পর্যন্ত রাত ১১টার সময় পুরোপুরি নিভে আগুন।

এরপর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনের কাজ শুরু করে স্কয়ার ফার্মা। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে কোম্পানিটি।

২০২০-২১ সালের আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ওই হিসাব বছরে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ কোম্পানিটি বিক্রি করেছিল ৫ হাজার ৮৩৫ কোটি। সেই হিসাবে ৫০ কোটি টাকার বিক্রি কমার দাবি অনুযায়ী তাদের বিক্রি কমবে দশমিক ৮৫ শতাংশ।

আর ওই বছরে কোম্পানিটি মুনাফা করেছিল ১ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা। আট কোটি টাকা মুনাফা কমার দাবি অনুযায়ী মুনাফা কমবে দশমিক ৫০ শতাংশ।

১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে।

১৯৫৮ সালে ওষুধ কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করা স্কয়ারের কালিয়াকৈরের কারখানাটি চালু হয় গত শতকের নব্বইয়ের দশকে। বর্তমানে বিশ্বের ৪২টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে কোম্পানিটি ।